পাতা:কোন পথে? - সুভাষ চন্দ্র বসু.pdf/১০০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নেতাদের ভুল নেতৃত্ব ኬ”ጫ সম্মুখীন না হয়ে প্রাচীনদের অভিজ্ঞতা ও দূরদর্শিতার শরিক হতে পারে । অপরপক্ষে যারা তরুণ এবং তরুণ বলেই স্বভাবত প্ৰগতিশীল ও বৈপ্লবিক তারা তাদের গতিক্ষুতি জলাঞ্জলি না দিয়ে৷ পককেশ বৃদ্ধিদের কাছ থেকে উপদেশ ও পথনির্দেশ নিয়ে থাকে। প্ৰাক্তন প্ৰধানমন্ত্রী লর্ড বন্ডউইন যখন যশ ও ক্ষমতার সর্বোচ্চশিখরে তখনই তিনি পদত্যাগ করেন এবং সেই থেকে বেশ কিছুটা নির্জনতায় জীবনযাপন করছেন। তিনি আর প্রতিবন্ধী নন, কিন্তু প্ৰবীণ রাষ্ট্রনীতিবিদ হিসাবে এখনও তার প্রচণ্ড প্রভাব, এমনকি, রাজসিংহাসনের পিছনকার শক্তি হিসাবেও তেঁাকে গণ্য করা যেতে পারে । যে জাতিকে গোলামিদশায় রাখা হয়েছে কিংবা যে জাতির মনোবুত্তিতে গোলামি রয়ে গেছে, তাদের কথা আলাদা । নেতারা একবার মঞ্চে উঠলে হল, স্বেচ্ছায় অবসর নিতে তাদের আর মন চায় না । তঁাদের টেনে নামাতে হয়। যেমন স্যার সুরেন্দ্রনাথকে নামাতে হয়েছিল, এবং এই কাজটা সত্যিই বেদনাদায়ক । এই সব দেশে লোকেরা অন্ধভাবে বীরপূজা করতে একটু বেশীমাত্রায় উদগ্রীব এবং তাদের মোহভঙ্গ হতে অন্য দেশের থেকে কিছু বেশী সময় লাগে। কিন্তু কোথাও দুঃসময়কে অনির্দিষ্টভাবে পিছিয়ে রাখা যায় না । কাল পূর্ণ হলে উলঙ্গ সত্য মুখোস খসিয়ে শেষ পৰ্যন্ত বেরিয়ে আসে । বর্তমান ক্ষেত্রে বিমুগ্ধ, কৃতজ্ঞ ও আবেগপ্রবণ এক জাতির পক্ষে বিশ্বাস করা সত্যি খুবই কঠিন যে, দুই যুগ ধরে র্যাদের হাতে নেতৃত্ব রয়েছে, কম-বেশি সাফল্যের সঙ্গে যারা অনেক লড়াই লড়ে এসেছেন। এবং জীবনপথে অনেক ঝড়ঝঞ্জা নিঃশঙ্কভাবে অতিক্রম করেছেন, চরম মুহুর্ত যখন সমাগত তারা তখন আমাদের নিরাশ করবেন। কিন্তু এই সিদ্ধান্ত ছাড়া অন্য কোন সিদ্ধান্ত কি আমাদের পক্ষে নেওয়া সম্ভব ? গত বছর থেকেবারেবারে সাবধান করে দেওয়া সত্ত্বেও আমাদের এই নেতৃমণ্ডলী আসন্ন ঘটনা সন্নিবেশের জন্য প্ৰস্তুত হতে বিন্দুমাত্র সচেষ্ট হননি। তার বদলে তঁরা আমাদের বিদ্রুপ করেছেন। ত্রিপুরি কংগ্রেসে তঁরা দেশের স্বার্থের দিকে দৃকপাত করার চেয়ে আমাদের