বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:কোন পথে? - সুভাষ চন্দ্র বসু.pdf/১৩১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

3$bዖ 6ቐiማ ዋiርst የ করে অনিচ্ছাসত্ত্বে, এবং সেইজন্য তাতে ঔদার্থ ও শালীনতার অভাব থাকে । অতএব, স্পষ্টই দেখা যাচ্ছে উভয় পক্ষের আগ্রহ সত্ত্বেও প্ৰস্তাবিত আপিস নাও হতে পারে। আপসের পথে আরেক অন্তরায় ভারতীয় সংখ্যালঘুদের সম্পর্কে ইংরেজ সরকারের মনোভাব। ইংরেজ সরকার সংখ্যালঘুদের দাবার ঘুটি হিসেবে ব্যবহার করবার বা কংগ্রেসের প্রতিপক্ষারূপে তাদের দাড় কারাবার প্রয়াস থেকে বিরত থাকতে এখনও প্ৰস্তুত নয়। কিন্তু একেবারে হালের খবর থেকে জানা যাচ্ছে, কংগ্রেস হাই কমাণ্ডের সঙ্গে একটা আপসে আসার মত অবস্থা যদি সম্ভব হয়, সরকার মুসলিম লীগকে পথে বসাতেও প্ৰস্তুত। লণ্ডন টাইমস-এর সাম্প্রতিক সম্পাদকীয় মন্তব্য এবং অন্যান্য ব্রিটিশ পত্রিকা এই অভিমত সমর্থনা করে । ইংরেজ সরকার মুসলিম লীগকে বাদ দিয়ে গান্ধীজির সঙ্গে যদি একটা বোঝাপড়ায় আসে, তাহলে আমাদের মনে হয় কংগ্রেস এবং মুসলিম লীগ দুয়ের মধ্যেই ভাঙন অনিবাৰ্য হবে । কংগ্রেসের মধ্যে গান্ধীজি এবং যারা তঁর পক্ষে, সকলে ব্রিটিশ সাম্রাজাবাদের পক্ষে থাকবে । অপরদিকে, মুসলিম লীগে যারা কর্তাভজা তারা যেহেতু ইংরেজ সরকারের তঁবেদার, আজকে লীগ কাউন্সিলে যারা প্ৰভাবশালী অর্থাৎ মিস্টার জিন্না ও প্ৰগতিশীল অংশ, তাদের ছেড়ে বেরিয়ে আসবে। কংগ্রেস হাই কমাণ্ড যদি সরকারের সঙ্গে আপসে আসে তাহলে কী ঘটবে সে বিষয়ে গভীরভাবে আমাদের চিন্তা করার সময় এসেছে। একতা ও নিয়মনিষ্ঠার নামে দক্ষিণপন্থীরা এই আপসবিরোধী সদস্যদের জোর করে গিলিয়ে দিতে চেষ্টা করবে তা খুবই স্বাভাবিক । দক্ষিণপন্থীরা আশা করছে সংখ্যাগরিষ্ঠের সিদ্ধান্ত বিরোধীদের মুখ বন্ধ করে দেবে, ঠিক যেমন প্রদেশগুলিতে মন্ত্রিত্বের গদি দখল ফরার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ, নিখিল ভারত কংগ্রেস কমিটি যেই সরকারী ক্ষমতা গ্রহণের সপক্ষে সিদ্ধান্ত নিল, অমনি থেমে গেল। কিন্তু এইবার বিরূদ্ধ মতবাদী বামপন্থীরা কী করবে ? সম্পূর্ণ, বামপক্ষের, তরফ থেকে এই মুহুর্তে ভবিষ্যদ্বাণী করা