পাতা:কোন পথে? - সুভাষ চন্দ্র বসু.pdf/১৫৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বঙ্গীয় হিন্দুমহাসভা ৩০শে মার্চ, ১৯৪০, 'ফরওয়ার্ড ব্লক’এ স্বাক্ষরিত সম্পাদকীয় । গত বছর শেষের দিকে কলিকাতায় হিন্দুমহাসভার নিখিল ভারত বাৰ্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনের দিক থেকে তা বিরাট সাফল্য অর্জন করে এবং মহাসভার নেতারা তাতে খুবই খুশি হন। তঁরা আশা করতে শুরু করেন। তঁদের সংগঠন বাংলাদেশে ছড়িয়ে পড়বে। সেই সময়ে কানাম্বুষা শোনা গিয়েছিল যে সম্মেলনটা আসলে ছিল কলিকাতার আসন্ন পৌরনির্বাচনের প্রস্তুতিমাত্র। পরবর্তী ঘটনাবলী এই সংবাদকে মিথ্যা প্ৰতিপন্ন করেনি । কলিকাতা উন্নয়নের ও পৌরকল্যাণের পোষকতা করার জন্য এবং নির্বাচন নিয়ে আকারণ দ্বন্দ্ব সংঘর্ষ এড়াবার জন্য বঙ্গীয় প্ৰাদেশিক কংগ্রেস কমিটি এবং বঙ্গীয় হিন্দুমহাসভা তাদের নিজ নিজ প্রতিনির্দি মারফত একটা বোঝাপড়ায় পৌছয়। বোঝাপড়ার শর্তগুলি যথারীতি সংবাদপত্রে প্রকাশিত হয় । বোঝাপড়ার ভিত্তি ছিল এই যে, নির্বাচন পরিচালিত হবে সম্মিলিত কংগ্রেস করপোরেশন নিৰ্বাচনী বোড়ের নামে এবং যারাই নির্বাচিত হবে তারা কংগ্রেস মিউনিসিপাল অ্যাসোসিয়েশনে যোগদান করবে । কংগ্রেস করপোরেশন নিৰ্বাচনী বোর্ড হিন্দুমহাসভার ছজনকে বোর্ডের সদস্যভুক্ত করবে এবং যে কমিটি প্রার্থী নির্বাচন করবে তাতে উভয় সংগঠন থেকে সমানসংখ্যক প্রতিনিধি থাকবে। কিন্তু হিন্দুমহাসভা পৃথকভাবে নিৰ্বাচন পরিচালন করবে না । তেমনি করপোরেশনে পৃথকভাবে হিন্দুমহাসভা ব্লকও থাকবে না । ভবিষ্যতে করপোরেশনে যদি কোন সাম্প্রদায়িক প্রশ্ন দেখা দেয়, কংগ্রেস মিউনিসিপাল অ্যাসোসিয়েশন তাকে পার্টিগত প্রশ্ন বলে গণ্য করবে না এবং সেক্ষেত্রে সদস্যদের নিজেদের ইচ্ছামত ভোট দেবার স্বাধীনতা দেওয়া হবে।