পাতা:কোন পথে? - সুভাষ চন্দ্র বসু.pdf/১৬৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

স্বামীজির বাণী ২০শে এপ্রিল, ১৯৪০, ফরওয়ার্ড ব্লক’এ স্বাক্ষরিত সম্পাদকীয়'৷ ব্রিটিশ সরকার যে কোন সাম্রাজ্যবাদী সরকারের মত ক্ষমাহীন, নির্মম ও দৃঢ় প্ৰতিজ্ঞ। আঘাত করার যখনই আবশ্যক বোধ করে তারা আঘাত করতে দ্বিধা করে না এবং ব্যক্তিকে তারা কদাচিৎ সম্মান করে। দেশের মধ্যে র্যারা সবচেয়ে সম্মানিত তঁদের কপালেও দুঃখভোগ আছে যদি তারা শাসনকর্তৃত্বের বিরাগভাজন হন । স্বামী সহজানন্দ সরস্বতীর নামের প্রভাব এদেশে মন্ত্রশক্তির মত । ভারতের কিষাণ আন্দোলনের অবিসম্বাদী নেতা, তিনি আজ জনগণের পরম প্ৰিয়, অগণিত মানুষের আদর্শ নায়ক । রামগড়ে সারাভারত আপসবিরোসী সম্মেলনের রিসেপসন কমিটির সভাপতিরূপে তাকে পাওয়া বাস্তবিক ছিল এক দুর্লভ সৌভাগ্য। ফরওয়ার্ড ব্লক-এর পক্ষে বামপন্থী আন্দোলনের অগ্রগণ্য অন্যতম নেতা হিসেবে এবং ফরওয়ার্ড ব্লক-এর বন্ধু, উপদেষ্টা ও পরিচালক হিসেবে তঁকে লাভ করা ছিল একাধারে বিশেষ রকমের অধিকার ও সম্মান ৷ প্ৰকৃতপক্ষে স্বামীজিকে অনুসরণ করে কিষাণ আন্দোলনের প্রথম সারির বহু নেতা ফরওয়ার্ড ব্লক-এর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগ রক্ষা করে চলেছেন। অবশেষে স্বামীজির উপরে শাসনের খড়গ নেমে এল । আজ সকালে ভারত রক্ষা আইনে পাটনায় তাকে গ্ৰেপ্তার করা হয় । গতকাল তিনি কলিকাতায় ছিলেন এবং তঁর সঙ্গে আলাপ-আলোচনায় আমরা দীর্ঘ সময় অতিবাহিত করেছি। তখন আমরা কিছুই জানতাম না যে তঁাকে গ্রেপ্তার করার পরওয়ানা পাটনায় তৈরি রয়েছে। গত রাত্রে তিনি কলিকাতা ত্যাগ করে গেছেন। আর আজ সকালে পাটনায় তিনি পুলিস হেফাজতে । তঁর কলিকাতা ত্যাগ করার পূৰ্বে আমাদের স্বাক্ষরিত এক যুক্ত বিবৃতি আমরা প্ৰকাশ করি, তাতে সারা দেশে যথাযথভাবে মে দিকী,