পাতা:কোন পথে? - সুভাষ চন্দ্র বসু.pdf/১৬৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

S63 কোন পথে ? সব দাবি মিটিয়ে দিতে দৃঢ় ব্যবস্থা অবলম্বন করত। সাম্রাজ্যবাদ-এবং বিশেষ করে প্রাচীন সাম্রাজ্যবাদ-চিরাচরিত ভাবে “ছকে বাধা ও अनए ।” কিন্তু এই ঘটনার জন্য আমাদের আফসোস করার কিছু নেই। পরিবর্তনশীল পরিবেশের সঙ্গে খাপ খাওয়ার মত নমনীয়তা ও সামর্থ্য প্ৰাচীন সাম্রাজ্যবাদের থাকে না বলেই তা শেষ পৰ্যন্ত আশীৰ্বাদ হয়ে দাড়াতে পারে, যদিও তার ফলে আমাদের অব্যবহিত কর্তব্য, ভিন্নাবস্থায় যা হত, তার থেকে অনেক বেশী দুরূহ হতে পারে। গত চার বছর, বিশেষত গত আট মাস ধরে লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে, প্রাচীন সাম্রাজ্যবাদী শক্তিদের তুলনায় জার্মানির মত নতুন এক সাম্রাজ্যবাদী শক্তি অনেক বেশি সক্রিয়তা ও সচলতার পরিচয় দিয়েছে। এই সক্রিয়তা না থাকলে সোভিয়েত-জার্মান চুক্তির মত বৈপ্লবিক ও অশ্রুতপূর্ব এক পদক্ষেপ সম্ভব হত না । এবং এই সচলতা না থাকলে স্কাণ্ডিনেভিয়ার উপর যে দ্রুত আক্রমণ সারা দুনিয়াকে চমকিয়ে দিয়েছে তাও কখনও সম্ভব হত না । সক্রিয়তা জীবনের ধর্ম, সক্রিয়তা বিকাশের ধর্ম । এবং সেই সক্রিয়তাই সুস্থ, কল্যাণকর ও সৎ যখন তার মধ্যে দিয়ে প্ৰগতিশীল ভাবের প্রকাশ হয় । এই প্রকারের সক্রিয়তা আজ ভারতের অত্যন্ত প্রয়োজন । একমাত্ৰ হোয়াইট হলই আজ পায়তারা কষছে না । ওয়ার্ধাও একই কাজ করছে। আমরা যে অনিশ্চয়তা ও অকৰ্মণ্যতার কুয়াশার জালে চাপা পড়েছি। কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটি কী ভাবে তা অপসারণ করবে। ঠিক করছে আমাদের তা জানা নেই। হয়ত তারা নিজেরাও জানে না। গান্ধীবাদী কংগ্রেস মহাত্মার দ্বারপ্রান্তে অধীরভাবে প্ৰতীক্ষা করছে, কখন তঁর “অন্তরের আলো” জ্বলে উঠবে। কিন্তু সেই আলো যদি আমাদের নিরাশ করে, যেমন কদিন আগে রাজকোটে করেছে, তাহলে কী হবে ? রাজকোটে যখন তা ব্যৰ্থ হয়, তার অনুকল্প কোন নতুন আলো বা নতুন টেকনিক সম্পর্কে জনসাধারণ আগ্রহও দেখায়নি