পাতা:কোন পথে? - সুভাষ চন্দ্র বসু.pdf/২০০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নাগপুর অভিভাষণ $ኴዖጫ. পন্থীরা সুনির্দিষ্টভাবে আমাদের জানিয়ে দেয় যে ভবিষ্যতে তারা বামপন্থীদের সহযোগিতায় কাজ করবে না এবং আমরা যে মিশ্র কেবিনেটের দাবি করেছিলাম তা তারা প্ৰত্যাখ্যান করে। দ্বিতীয়ত, মহাত্মা গান্ধী এবং দক্ষিণপন্থীরা আমাদের জানিয়ে দেন যে, নিকট ভবিষ্যতে জাতীয় সংগ্রামের কথা উঠতেই পারে না। তৃতীয়ত, কংগ্রেসের মধ্যেকার সাম্রাজ্যবাদবিরোধী ও প্ৰগতিবাদীদের বামপন্থী ব্লক-এর নামে সংহত করার প্রয়াস সোশ্যালিস্ট ও কমিউনিস্টরা বর্জন করে। অতএব বামপন্থী-সংহতির জন্য পরবর্তী প্ৰয়াস কেবলমাত্র আমাদের দ্বারাই সম্ভবপর ছিল এবং সেইজন্য ফরওয়ার্ড ব্লক-এর প্রয়োজন ছিল অপরিহার্য । চতুৰ্থত গান্ধীবাদীরা বা দক্ষিণপন্থীরা আগে থেকেই নিজেদের গান্ধী সেবাসজেঘর আওতায় সংহত করেছিল এবং আমাদের তরফে আরও দেরি করলে ফল হত এই যে, কংগ্রেসের ভিতরে যারা বামপন্থী ছিল দক্ষিণপন্থীরা তাদের কণ্ঠরোধ করত। ১৯৩৯ সালে একথা সুস্পষ্ট হয়ে উঠেছিল যে, ১৯২০ ও ১৯১১ সালে বামপন্থী হয়ে যারা কংগ্ৰেসে প্ৰবেশ করেছিল এবং প্রায় দুই দৃশক ধরে কংগ্রেসের নেতৃত্ব নিজেদের করায়ত্ত রেখেছিল, তারা বিপ্লবী থাকা দূরের কথা এমন কি প্ৰগতিবাদীও আর নেই। এইরকম অবস্থায় রাজনৈতিক প্রগতির পথে আরও অগ্রসর হতে হলে আগে দরকার দেশের মধ্যে এবং বিশেষ করে কংগ্রেসের মধ্যে যত সাম্রাজ্যবাদবিরোধী, মৌলিক সংস্কারবাদী ও প্ৰগতিশীল শক্তি আছে সবার সংহতি । ১৯৩৯ সালের এপ্ৰিল মাসের শেষাশেষি আমি যখন কংগ্রেস প্রেসিডেন্টের পদ ত্যাগ করে ফরওয়ার্ড ব্লক গঠন করার কথা গভীরভাৰে চিন্তা করছি তখন কংগ্রেসের অত্যন্ত নামজাদা এক বামপন্থী নেতার সঙ্গে আমার গুরুত্বপূর্ণ ও উল্লেখযোগ্য এক আলোচনা হয়। সেই নেতা অবশ্য পরবর্তীকালে গান্ধীবাদীদের পক্ষপুটে আশ্রয় নিয়েছেন । তিনি আমাকে উভয় পন্থা থেকে বিরত হতে উপদেশ দেন এবং তিনি সেইসঙ্গে এও জানান, যেহেতু আন্তর্জাতিক ঝড়ের সঙ্কেত দেখা