বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:কোন পথে? - সুভাষ চন্দ্র বসু.pdf/২১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

yr কোন পথে ? গরিষ্ঠ দলের ( অথবা গান্ধী পার্টির) ‘লৌহ কাঠামো, সেই সঙ্ঘ ১৯৩৮-এর মার্চ মাসে ওড়িশার দেলংয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটি কনফারেন্সের অনুষ্ঠান করে। এই কনফারেন্সে গান্ধী সেবা সঙ্ঘ বামপন্থীদের বিরুদ্ধে আক্রমণ চালানোর সিদ্ধান্ত নেয়। অন্যান্য অনেক বিষয়ের মধ্যে সঙ্ঘ স্থির করে শ্রমিক এলাকায় তারা তাদের লোক পাঠাবে, উদ্দেশ্য এদেশে শ্রেণীসচেতন ট্রেড ইউনিয়ন আন্দোলনের পক্ষে যে সকল ট্রেড ইউনিয়ন কর্মী কাজ করছে তাদের যাতে উৎখাত করা যায় । আরও স্থির হয়, দেশের প্রাদেশিক ও অন্যান্য কংগ্রেস সংগঠনগুলিকে হাত করার জন্যে তারা তাদের প্রধান প্ৰধান সদস্যদের নিয়োজিত করবে । ১৯৩৪ সালে নিখিল ভারত কংগ্রেস কমিটি যে সংসদীয় কাৰ্যক্রম গ্ৰহণ করে তার চূড়ান্ত পরিণতি দেখা দেয়। ১৯৩৭-এ প্রদেশগুলিতে সরকারী ক্ষমতা গ্রহণে । এর ফলে দক্ষিণপন্থীরা তাদের অবস্থা এত সংহত করে তুলল এবং তাদের প্রভাব প্ৰতিপত্তি এমন বাড়িয়ে ফেলল যে ১৯৩৮-এ তারা বামপন্থী শক্তির উপর আক্ৰমণ চালাতে শুরু করল । এই সুচিন্তিত আক্রমণের বিরুদ্ধে বামপন্থী শক্তি যদি সচেতনভাবে নিজেদের সংগঠিত ও শৃঙ্খলাবদ্ধ করতে পারত। তবেই তার টিকে থাকার আশা ছিল । যদি কংগ্রেসের ভিতরকার প্রগতিশীল, বৈপ্লবিক ও সাম্রাজ্যবাদবিরোধী সকলে কংগ্রেস সোশ্যালিস্ট পার্টির পতাকাতলে মিলিত হতে পারত, তাহলে ব্যাপারটা খুবই সহজ হয়ে যেত। কিন্তু তা হল না । এই কারণেই, হরিপুরা কংগ্রেসের পরে নূনতম সাধারণ এক কাৰ্যক্রমের ভিত্তিতে বামপন্থী সবাইকে সংগঠিত করার জন্যে একটি বামপন্থী ব্লক গড়বার কথা ভাবা হয়েছিল। যদি বর্তমান বামপন্থী পাটিগুলি এই বামপন্থী ব্লক (এখন যার নতুন নামকরণ হয়েছে ফরওয়ার্ড ব্লক) গড়ে তোলার দায়িত্ব নিত, তাহলে এর মধ্যে বামপন্থীদের সংহত করার কাজ অনেক এগিয়ে যেত । কিন্তু ব্যক্তি বা দল আমাদের নিরাশ করলেও আদর্শের অবহেলা