বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:কোন পথে? - সুভাষ চন্দ্র বসু.pdf/২২১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ফরওয়ার্ড ব্লকের পটভূমি [ নেতাজীর নিজের হাতে ইংরাজীতে লেখা এই অসমাপ্ত প্ৰবন্ধটি 'Forward Bioc in Perspective’ তার শেষ কারাবাসের সময়কার (জুলাই-ডিসেম্বর ১৯৪০ ) কাগজপত্রের মধ্যে সম্প্রতি পাওয়া গেছে। এই লেখাটির সঙ্গে পাঠক নিশ্চয়ই কাবুলে লেখা এবং “ভারতের মুক্তিসংগ্রাম ১৯২০yss R”-q3 Rt ris ekstf's 'Forward Bloc-its justification'-এর সাদৃশ্য লক্ষ্য করবেন। বোঝা যায়, নেতাজী এই প্ৰবন্ধটি লেখার সংকল্প প্রেসিডেন্সী জেলেই করেছিলেন। কাবুলে তিনি এটি নতুন করে লেখেন এবং শিরোনামেব কিছু পবিবর্তন করেন। —শ, ক, ব: একটা জীবন্ত গাছের সঙ্গে যে কোন আন্দোলনের বিকাশ তুলনা করা যেতে পারে । কোন ক্ষেত্রেই বিকাশ সরল রেখায় হয় না । সেখানেও গতিভঙ্গ ও দ্বিভাজনের সমগোত্রীয় অন্তনিহিত উৎক্ষেপ ও বিরোধ থাকে । কিন্তু বিকাশের অন্যতম মৌলিক ধর্ম ধারাবাহিকতা । এই ধারাবাহিকতা থাকে বলেই একটা জীবন্ত শাখা একটা পরগাছা থেকে আলাদা। একটি জীবন্ত গাছের প্রতিটি অংশ জৈবসূত্রে মূলের সঙ্গে সম্পািক্ত, যে মূল মাটির গভীরে সম্প্রসারিত। একটা পরগাছা সম্পর্কে একথা বলা চলে না । জৈব অভিব্যক্তির এই দৃষ্টিকোণ থেকে ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের ইতিহাস বিশ্লেষণ ও পৰ্যালোচনা করা প্ৰয়োজন । যখনই কোন আন্দোলনের গতি রুদ্ধ হয়ে যায় অথবা তার গতি রোধ করা হয়। সচরাচর তখনই ভিতর থেকে বিদ্রোহ বা বিপ্লব প্ৰকট হয়ে ওঠে। ১৯২১ সালে আমার কংগ্রেসে যোগদান করার পর কংগ্রেসের মধ্যে বিদ্রোহের প্রথম লক্ষণ দেখা দেয়। ১৯২২ সালে, বর্দোলীতে মহাত্মা গান্ধী কর্তৃক আইন অমান্য আন্দোলন স্থগিত রাখার অব্যবহিত পরে। এই বিদ্রোহ এক বৎসর পরে স্বরাজ্য পার্টির নামে সংগঠিত হয়ে রূপ পরিগ্রহ করে।