পাতা:কোন পথে? - সুভাষ চন্দ্র বসু.pdf/২২৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

及》° কোন পথে ? ১৯২৮ সালে লক্ষ্মৌতে ইণ্ডিপেণ্ডন্স লীগের পত্তন করা হয়। এই ব্যাপারে যারা নেতৃত্ব করেছিলেন। তঁদের মধ্যে ছিলেন পণ্ডিত জওহরলাল নেহরু, বর্তমান লেখক এবং আরও কয়েকজন । ওই BDD S DBDBBDD BBLBD DBDDDBDDS BgDT DBDBDDS BBBDDBD সভাপতিত্বে যখন কংগ্রেসের বার্ষিক অধিবেশন বসে তখন মহাত্মা গান্ধীর নেতৃত্বাধীনে সাংগঠনিক পার্টির সঙ্গে ইণ্ডিপেণ্ডেন্স লীগের সদস্যদের সংঘর্ষ হয়। প্ৰধান প্ৰস্তাবটি উত্থাপন করেন মহাত্মা গান্ধী, তাতে আমি এই মর্মে একটি সংশোধন যোগ করার জন্যে প্ৰস্তাব আনি যে, কংগ্রেসের লক্ষ্য। “পূর্ণ স্বরাজ” সুস্পষ্ট ভাষায় ঘোষণা করতে হবে । সংশোধনী প্ৰস্তাবটি অগ্রাহ্যু হয়, কিন্তু ভোটে দেখা গেল সংখ্যালঘু ধারা তঁরা শক্তিমান ও প্রভাবশালী। গান্ধিজী সম্ভবত তা বুঝতে পেরেছিলেন, কারণ পরের বৎসর পণ্ডিত জওহরলাল নেহরুর সভাপতিত্বে লাঙ্কোরে যখন বার্ষিক অধিবেশন বসে তখন তিনি ( গন্ধিজী ) কলিকাতা কংগ্ৰেসে যে প্ৰস্তাবের বিরোধিতা করেছিলেন ও যা বাতিল করেছিলেন তা তিনি নিজেই উত্থাপন করেন । প্ৰস্তাবটি সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয় বটে, কিন্তু তার দ্বারা বোঝায় না যে, লাহোরে কংগ্রেসের মধ্যে এই নিয়ে দলাদলি হয়নি। ১৯২৮ সালে কলিকাতা কংগ্ৰেসে সর্বপ্রথম বামপন্থীদের সুস্পষ্ট আবির্ভাব ঘটে এবং সেখানে আদর্শ বা লক্ষ্য নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে শক্তি পরীক্ষাও হয়ে যায় । লাহোর কংগ্ৰেসে স্বরাজ অর্জন করার পদ্ধতি বা কর্মকৌশলের পরিকল্পনা নিয়ে সংঘর্ষ বাধে। মহাত্মা গান্ধীর নির্দেশমত ওয়াকিং কমিটি আনুষ্ঠানিকভাবে যে পরিকল্পনা পেশ করে বিষয়নিৰ্বাচনী ( সাবজেক্ট্রস) কমিটি তা বাতিল कब्र g । বামপক্ষের তরফ খেকে আমি বিকল্প যে পরিকল্পনা পেশ কৱি সেই কমিটি তাও অগ্ৰাহ করে । ফল দাঁড়াল এই যে, যদিও কংগ্রেস • সর্বসম্মতিক্রমে স্বরাজের লক্ষ্য স্বীকার করে নিয়েছিল, কাৰ্যক্ষেত্রে তা * রূপায়িত করার কোন পরিকল্পনা স্থির না করেই কংগ্রেসের অধিবেশন