পাতা:কোন পথে? - সুভাষ চন্দ্র বসু.pdf/২৩১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

S ኃኴ” 6ቐተማ ዏዘርጫ ? কিছুকাল থেকে সি. এস. পি,ার অগ্রগতি একেবারে থেমে গেছে। লক্ষণ আশঙ্কাজনক, কারণ এগিয়ে চলার উদ্দীপনার অভাব মানেই অবক্ষয়ের সূত্রপাত। ১৯৩৮-এর ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত হরিপুরা কংগ্রেসের ঠিক পরেই সি. এস. পি.র অগ্রগণা সদস্যদের সঙ্গে আমার গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হয় । এবং সেই সময়ে তঁদের সদস্য হিসাবে ন্যাশনাল ফ্রণ্ট গোষ্ঠীর সদস্যরাও ছিলেন। কথা ওঠে এবং বিশদ আলোচনার পর সবাই মেনেও নেয়, পার্টির কাজে গুক এর কোন ত্রুটি রয়ে গেছে, তখনকার কাজের পরিকল্পনাতেও কিছু ফাক রয়েছে, এবং অবিলম্বে ত্রুটিগুলি দূর করা দরকার । কংগ্রেসের মধ্যে এমন অনেক বিপ্লবী মনোভাবাপন্ন ব্যক্তি রয়ে গেছে যারা সাংগঠনিক দলে নেই এবং শাদের টেনে আনা হয়নি। যদিও তাদের দলে আনা একান্ত দরকার ছিল । তখন পৰ্যন্ত সি. এস. পি. বাপক ভাবে সমাজতান্ত্রিক প্রচার চালিয়ে এসেছে। এই কাজ । ভালই হয়েছিল। কংগ্রেস কমিটির সভাসমিতিতেও ৩রা তাদের উপস্থিতি বুঝিয়ে দি ত এবং পাটির সদস্যরা যখন যেখানে সম্ভব তত মূল প্ৰস্তাব ও সংশোধন প্ৰস্ত।। ৭ উত্থাপন করে তাদের উগ্ৰ মনোভাব জানিয়ে দিত । এতেও উপকার হত, কারণ কংগ্রেসীদেরও চাঙ্গ করার দরকার ছিল। কিন্তু এসব সত্ত্বে ও কতকগুলি লক্ষণীয় ত্রুটি থেকে গিয়েছিল। প্রথমত, জনসাধারণ সি. এস. পি.র সদস্য ছিল না । এটি বরঞ্চ বাছা বাছ কয়েকজন ব্যক্তির পার্টি ছিল, অনেকটা গ্রেট ব্রিটেনের সোশ্যালিস্ট লীগ ও অনুরূপ সংগঠনের মত। দ্বিতীয়ত সাধারণ মানুষের ‘ধ্যে সাংগঠনিক কাজের উপর তি৷ যথেষ্ট গুরুত্ব দেয়নি, যেমন কৃষক ও শ্রমিকের মধ্যে । যখন পার্টির পত্তন হয় তখন হয়ত বিভিন্ন মতাদর্শের কথা ভাবা হয়েছিল, পরে তা ৰাদ দেওয়া হয়। যাশ হোক, ১৯৩৭ ও ১৯৩৮ সালের মধ্যে যে সুনির্দিষ্ট পথকে সি. এস. পি. তাব বিকাশের পথ বলে ধরে নেয় তাতে স্পষ্টত অনেক ক্রটি ছিল এবং সেই পথ শেষ পর্যন্ত ভ্ৰান্ত বলে প্ৰমাণিত হয়। এই সব ত্রুটির কারণ ছিল সম্ভবত পার্টির লক্ষ্য ও