বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:কোন পথে? - সুভাষ চন্দ্র বসু.pdf/২৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

S8 কোন পথে ? নবজাগরণের ফলে, প্ৰবুদ্ধ ভারতের মুক্ত আত্মা যখন বহু’র মধ্যে নিজেকে বিলিয়ে দিতে চাইলেন তখন দেখলেন যে একদিকে রাষ্ট্র এবং অপরদিকে সমাজ তাকে শৃঙ্খলিত করে রেখেছে। তারপর আরম্ভ হল-রাষ্ট্রবিপ্লব এবং সমাজবিপ্লব। সেই বিপ্লবের সূচনাও এই ভূমিতে -যেখানে একদিন ধর্মবিপ্লবের ও কৃষ্টিবিপ্লবের আবির্ভাব হয়েছিল । ১৮৮৫ খ্ৰীষ্টাব্দে কংগ্রেসের (বা নিখিল ভারত জাতীয় মহাসভার) জন্ম হয়। কুড়ি বৎসর নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলনের পর আমাদের রাষ্ট্ৰীয় ইতিহাসে এক নূতন যুগ আরম্ভ হয়—সেটা স্বাবলম্বনের যুগ, স্বদেশীর ও বিদেশীবর্জনের যুগ। তার পরের একদিকে বঙ্গভঙ্গ এবং অপরদিকে আমলাতন্ত্রের দমননীতি এমন একটা বিষাক্ত আবহাওয়া সৃষ্টি করলে যে দেশের তরুণ সম্প্রদায় উত্তেজনার বশবতী হয়ে, আত্মসংযম হারিয়ে ইতিহাসের চিরপরিচিত পস্থা-সশস্ত্র বিদ্রোহের পন্থা-অবলম্বন করলে। দশ বৎসর অতীত হতে না হতে আমরা পুনরায় আমাদের রাষ্ট্রীয় ইতিহাসের এক নূতন অধ্যায়ে প্রবেশ করলাম-“অহিংস vysgjësi 9 Pjej5)Çk3r” 314 (it i আজ ভারতীয় রাষ্ট্রীয় গগন মেঘাচ্ছন্ন হয়ে উঠেছে । আমরাও ইতিহাসের এমন এক চৌমাথায় গিয়ে পড়েছি যেখান থেকে বিভিন্ন দিকে পথ বেরিয়ে গেছে। এখন আমাদের সম্মুখে সমস্যা এই-যে নিয়মতান্ত্রিকতার পথ আমরা ১৯২০ খ্ৰীষ্টাব্দে বর্জন করেছিলাম, পুনরায় কি সেই পথে ফিরে যাব ? অথবা আমরা কি গণআন্দোলনের পথে অগ্রসর হয়ে গণসংগ্রামের জন্য প্ৰস্তুত হব ? এখানে তর্কবিতর্ক আমি শুরু করব না-আমি শুধু এই কথা বলতে চাই যে, নবজাগ্রত ভারতীয় মহাজাতি স্বাবলম্বন, গণআন্দোলন এবং গণসংগ্রামের পন্থা কিছুতেই পরিত্যাগ করবে না । এই পন্থার দ্বারাই তারা অনেকটা সাফল্যলাভ করেছে এবং ভবিষ্যতে আরও বেশী সাফল্যলাভ করবে বলে বিশ্বাস করি। সর্বোপরি, বেদেশিক সাম্রাজ্যবাদের সহিত একটা তুচ্ছ আপাস করে তারা কিছুতেই তাদের জন্মগত অধিকার-স্বাধীনতা -css qi&g 74 r. 1 R