পাতা:কোন পথে? - সুভাষ চন্দ্র বসু.pdf/৬৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

d কোন পথে ? ব্রিটিশ সরকারকে সময় দেব, এবং আমাদের দাবি প্ৰথমে প্ৰত্যাখ্যাত হতে পারে ধরে নিয়ে আমরা প্ৰস্তুত হতে থাকব। আমাদের এই ঘোষণায় জনসাধারণ সোৎসাহে সাড়া দিয়েছিল। কিন্তু তাতে দক্ষিণপন্থী নেতারা বিন্দুমাত্র বিচলিত হননি, এমনকি, পরে তঁরা ঘোষণাটিকে বিদ্রুপ করতেও ছাড়েন নি। তা সত্ত্বেও ১৯৩৯-এর ফেব্রুয়ারি মাসে জলপাইগুড়িতে যে বঙ্গীয় প্রাদেশিক কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হয় তাতে এই মর্মেই একটি প্ৰস্তাব গৃহীত হয় এবং এই প্ৰস্তাব যাতে জনসাধারণ সমর্থন করে সেইজন্য কিছু প্রচারও চালানো হয়েছিল। ১৯৩৯-এর জানুয়ারির শেষাশেষি সেই বছরের কংগ্রেস প্রেসিডেন্টের জন্য নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় । পুননির্বাচনের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সিদ্ধান্ত নিয়ে আমি চরম দুঃসাহসিকতার কাজ করেছিলাম। কারণ বেশীর ভাগ কংগ্ৰেসকর্মীর ধারণা ছিল আমার সাফল্যের সম্ভাবনা সুদূরপরাহত। আমার নিজের দিক থেকে দাড়াবার যুক্তি ছিল এই বিশ্বাস যে, নির্বাচনদ্বন্দ্বের ফলাফল যাই হোক না কেন, তার দ্বারা আমি ফেডারেশন-বিরোধী আদর্শকে শক্তিশালী করতে পারব। সন্দেহ নেই, নিৰ্বাচনের ফল। যেমন দক্ষিণপন্থীদের নিরাশ করেছিল তেমনই তা দেশের সমস্ত বামপন্থীদের মনে আত্মবিশ্বাস ও আনন্দের শিহরণ জাগিয়েছিল। আমার পুনর্নির্বাচনে সবাই বলেছে, “ফেডারেশনের দফা রফা হয়ে গেল।” ওয়ার্ধ থেকে মন্তব্য করা হল, “কুড়ি বছরে যা গড়ে তোলা হয়েছিল, রাতারাতি তা নাকচ হয়ে יין הס]ל) কিন্তু গান্ধীবাদীদের ১ অত সহজে নিরস্ত করা যায় না। মহাত্মা গান্ধী সক্রিয় হয়ে উঠলেন, সারা দুনিয়ার কাছে তিনি ঘোষণা করলেন ( এবং আমার বিনীত মতে, নিতান্ত ভ্ৰান্তভাবে ), পট্টভির পরাজয় র্তার নিজের পরাজয় । পার্টিযন্ত্র পুরোদমে কাজে লেগে গেল এবং গত

  • কংগ্রেস কর্মীদের সম্পর্কে আমরা যখন কথা বলি তখন গান্ধীবাদী ও দক্ষিণপন্থী শব্দ দুটি সমার্থক বোঝায়।