বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:খতিয়ান - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৩০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Stw? খতিয়ান —যা”একোছে তা কি সত্যি ভাই ? ঠিক জানো তুমি ? জানি বৈকি । অবিনাশের পর আরও অনেকে আসে। কেউ হেসে তার পিঠ চাপড়ে দেয়, কেউ উচ্ছসিত প্ৰশংসা করে বলে, চমৎকার একেছো, কেউ বলে, বেশ করেছে। ভাই। অনেকেই তাকে প্রশ্ন করে। সে প্রশ্ন প্ৰায় অবিনাশের জিজ্ঞাসার মতই। ছুটির পর দু’চারজন ছাড়া কেউ বেরিয়ে যায় না। প্রথমে একত্র হয় আটদশজন, তারপর কেউ না ডাকলেও সেই ছোট দলটির চারিপাশে সকলে এসে জমা হয় কয়েক মিনিটের মধ্যে । অবিলম্বে বরখাস্তের নামে ছাটাই বন্ধ করার ও যারা ছাটাই হয়েছে তাদের বরখাস্তের নোটিশ প্রত্যাহার করার দাবী এবং এই দাবী না মানা পৰ্য্যন্ত কোন কৰ্ম্মচারী কাজ করবে না। এই ঘোষণার নীচে প্ৰায় সকলেই স্বাক্ষরু করে বাড়ী যাবার আগে । ভুবন আসল খবর জানায় জীবনকে। জীবন ছুটে যায় ঘটনাস্থলে। হঁা করে সে তাকিয়ে থাকে দেয়ালের পাশাপাশি দু’টি মস্ত ছবি ও লেখাগুলির দিকে । বায়ের ছবির উপরে বড় বড় হরপে লেখা “১৯৪০ সাল-পরামর্শ।” ছবিতে ভুড়ির মত গিাধর ও বাঙন এবং কাকের কীত্তির ছাপ মারা চালকুমড়োর মত জীবনকে স্পষ্ট চেনা যায়। তাদের পিছনে বোর্ডে লেখা : “পারমানেণ্ট চাকরী-চলা আও ।” ছোট হরফে নীচে লেখা ৪ গিাধর বলছে-পারমানেণ্ট বলে লোক নিলে কত সুবিধা। গড়পড়তা বিশ রূপেয়া কম দিতে হলে লোক পিছু বছরে দুশো চল্লিশ রুপেয়া মুনাফা । বাঙনা বলছে-তারপর বরখাস্ত করলেই হল।