বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:গৃহশ্রী - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/১২৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Σ Σ (ζ গৃহশ্ৰী হাতে স্বৰ্গ পান ; তিনি আর কিছু চান না। সন্তান বড় হইলে যদি তাহার খোজ না লয়, তবে “আহা, ভাল থা’ক, একবার মুখখানি দেখিলে চক্ষু জুডাইত !”—ইহা ছাড়া তঁহার আর কোন কামনা থাকে না । এই ত্যাগজনিত স্নেহের তুলনা কোথাব্য ? সেই শিশু বড় হইয়া দুয়ারে দুয়ারে যাইযা আঘাত করিবে এবং দেখিবে, আব্ব কেহ তাহাকে সেই মাতৃস্নেহের শতাংশেব একাংশ দিতেও প্ৰস্তুত হইবে না । জন্মমাত্র নিঃসহায় জীবকে ভগবানের করুণা স্বযং মা হইয়া কোলে লইয়া বসিযাছিল, পিতা হইয তাহাব রক্ষার জন্য চিন্তা করিয়াছিল। এই গৃহের দেবীদ্বারে যাহারা প্ৰথম দেখা দিয়াছিলেন, যাহারা খাইতে দিয়াছিলেন ও বুকে করিয়া রাখিয়াছিলেন, কত বৃষ্টিতে ভিজিয়া, কত দুশ্চিন্তা করিয়া, মন্দিরে মন্দিরে কত ধন্না দিযা ডাক্তারের বাড়ী ঘুরিয়া নিজের খাওয়া-দাওযা ছাড়িয়া দিয়া, যাহারা আমাদের রক্ষা করিয়াছিলেন, তাহদের অপেক্ষ বড় দেবতা কে জানি না,-কোন দেব কি দেবীকে আমরা “মা” “বাবা।” অপেক্ষা উচ্চ নামে ডাকিতে পারিয়াছি ? তাহারা যখন ছাড়িয়া যান, তখনও নানা যন্ত্রণায় পড়িয়া তাহদের স্মরণ করিলেই আমরা শান্তি পাইয়া থাকি । যখন আমরা আৰ্ত্তি ও নিরাশ্রয় হই, তখন “মা” “বাবা” শব্দ আপনা-আপনি মুখে আসে। রোগে, শোকে, দুঃখে পড়িয়া তাহদেরই চরণ মনে পড়ে। র্তাহাদের প্রতি স্নেহপরাধ করিলে শেষে তপ্ত অশ্রজলে সেই পাপের প্রায়শ্চিত্ত করিতে হয়। র্তাহারা সৰ্ব্বদা তোমার জন্য চিন্তা করিতেছেন ও কষ্ট সহিতেছেন—অনায়াস-লব্ধ অসীম স্নেহ পাইয়াছ বলিয়া তাহার মূল্য দিতে ভুলিও না, জগতে সেরূপ আর পাইবে না। কত মূৰ্ত্তি দেখিবে, কত চিত্রকর কতরূপ আঁকিয়া দেখাইবে, কিন্তু মায়ের মুখের কমনীয়তা কোথায় পাইবে,-পিতার মেহদৃষ্টি কোথায় দেখিবে ? 予 {5|す C質る