বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:গৃহশ্রী - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/১৩৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Σ ο δο গৃহশ্ৰী মেহ বা সেবার উপর যতটা ন্যায়সঙ্গত দাবী রাখেন, তাহা পূরণ করিয়া পাতিব্ৰত্য ধৰ্ম্ম আচরণ করিলেই এ দেশে সেই রমণী আদেশ-গৃহিণী-পদবাচ্য হইতে পারেন। নতুবা ভাসুর-পত্নীকে দু’কথা শুনাইয়া, শ্বশুরের তিরস্কার জনিত রাগের ফলে নিজের শিশুর পৃষ্ঠদেশ পিটাইয়া কিংবা রাগের ঝোকে থালা বাসন ছুড়িয়া ফেলিয়া ও তাহদের কাংস্য-প্ৰাণের আৰ্ত্তিনাদের সঙ্গে নিজের সুর জুড়িয়া দিয়া কান্না আরম্ভ করিলে, সে মূৰ্ত্তি স্বামীর চক্ষে যতই করুণার প্রতিমূৰ্ত্তি বলিয়া প্ৰতিভাত হউক না কেন,—সংসারের অপর সকলে সেই উগ্র ও তাণ্ডব ভাব সহা করিতে পরিবেন না । বধু ও কন্যারা প্ৰাতে উঠিয়া ভগবানকে ডাকার পর জনক-জননী বা শ্বশুর-শাশুড়ীর পাদবিন্দনা করিবেন ; সেই প্ৰণামের ফলে সে দিন শুভ হইবে। যদি কোন অন্যায় আচরণের ফলে গুরুজনের মনে কোন দুঃখ বা বিরক্তি জন্মিয় থাকে, ঐ প্ৰণাম সেই দুঃখ ও বিরক্তি দুর করিবে এবং তাঙ্গাদের মনে অপত্যস্নেহ নিৰ্ম্মল করিয়া তুলিবে । বন্ধু বা কন্যা যদি গুরুজনের ব্যবহারে মনে কষ্ট পাইয়া থাকেন, ভক্তির সহিত প্ৰাতে র্তাহাকে প্ৰণাম করিয়া দেখিবেন, তাহার নিজের মনের ভাবও অন্যরূপ হইয়া গিয়াছে। সেই বিরক্তি ও সুঃখের স্থলে তাহার ঈদয়ে কেবল আশীৰ্বাদ লাভের ইচ্ছা ও মেহের ভাব জাগ্রত হইয়াছে। গুরুজনকে ভুলাইবার একমাত্র উপায় তাহাকে নেহ ও ভক্তি দেখান। তাহার রাগ যতই উগ্ৰ হইয়া উঠুক না কেন, অপত্যস্থানীয় ব্যক্তির চক্ষে উহা যত বড়ই হউক না কেন, যদি সন্তান বা সন্তানস্থানীয়গণ তঁহার ভৎসনা কিছুকাল নীরবে সহিয়া ক্ষমা প্রার্থনা করেন, সে রাগ বানের জলে তৃণের মত ভাসিয়া যাইবে ; মেহের বান ডাকিয়া উঠিবে, অন্তরের সমস্ত মলা ঘুচিয়া যাইবে। প্ৰতিবেশী ও অপর বাড়ীর আত্মীয়-স্বজনের সহিত ব্যবহারে সর্বদা গুর জনের প্রণাম