বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:গৃহশ্রী - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/১৩৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

SvRG গৃহশ্ৰী করা বা দেনাদারের নিকট নিঃসহায়ভাবে তাহার চুলগুলির প্রত্যেকটি বন্ধক দেওয়া,-প্রভৃতি ব্যাপারেও তঁাচারা বিচলিত হন না । পুত্রের পিতামাতার প্রাণ যখন অৰ্থলোভে এরূপ কঠোরভাব ধারণ কবে, তখন তাহাতে অপত্য-মেহের খেলা কিছুই দেখিতে পাওয়া যায় না । অনেক সময় বাড়ীর কৰ্ত্তাই এরূপ নিৰ্ম্মতার পরিচয় দেন, গিন্নী কেবল দৌতুকের জিনিসপত্রের পুৎ বাহির করিতে ব্যস্ত থাকেন, নগদের প্রতি তাহার লক্ষ্য কম। সাধারণ গৃহস্থের ঘরে গৃহিণীরা যৌতুকের লেপ, বালিস তোষক, খাট এবং কাসার বাটি, ঘটি লইয়াই অনেক সময় ক্ষোভ প্ৰকাশ করেন, ঋণবদ্ধ বৈবাহিকের টিকি ধরিয়া যথাসাধ্য নাড়া দেন। যাহারা পুত্ৰলাভ করিয়াছেন, তাহাদিগকে বিধাতা অনেক সময় কন্যা-রত্নে ও বঞ্চিত করেন না,-কান্ত বিবাহকালে মাঝে মাঝে তাহারা তাহদের পূর্ব-ব্যবহারের সুন্দ শুদ্ধ প্ৰতিদান প্ৰাপ্ত হন । রমণী-হৃদদায়ের দয়ার কথা আমরা কখনও ভুলিতে পারি না, তঁহাদের দয়ায় এই পৃথিবী টিকিয়া আছে। আমরা জন্মিয়। যে এত বড় হইতে পারিয়াছি, তাহা সকলই তেঁাহাদের দয়ার ফলে । দয়াময়ীদের নির্দয়ত দেখিলে বড় দুঃখ হয়, তাতারা বিবাহ কালে কন্যার পিতামাতাকে বর ও অভয় দিন, আসি ও নরকপাল দেখাইবেন না। যদি তাহারা ন্যায়সঙ্গত ভাবে পারিবারিক শাসন-দণ্ড পরিচালনা করেন, তবে দুবৃত্তি গৃহস্থের মস্তক আপনা হইতেই হেট হইবে, বাড়ীর সকলের অমতে তিনি কখনই একটা নিদারুণ ও নিৰ্ম্মম কৰ্ম্ম করিতে পারিবেন না । বর-পণ সম্বন্ধে অনেক স্থলেই গৃহিণীর দোষ নাই, কিন্তু বিবাহে অতিরিক্ত ব্যয়-বিধান করায় তাহার বেশ হাত আছে । অনেক সময় গিল্পীর প্ররোচনায় দরিদ্র-গৃহস্থ সৰ্বস্বান্ত হইয়া পড়েন। হিন্দুর ঘরে বিবাহ নানা কারণে মঙ্গলের ব্যাপার না হইয়া মহা আশুভের বিষয় হইয়া দাড়াইয়াছে। বিবাহ উপলক্ষে ঘরে যেন ডাকাত পড়িল, সর্বস্ব হরণ না করিয়া