পাতা:গৃহশ্রী - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/১৪৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

S গৃহশ্ৰী গহনা যেরূপ হইবে, দেবীরপত্নী কিম্বা ননদিনীকে হত্য ত সেইরূপ দিতে হইবে, তাহা হইলেই গহনাতে সমস্ত ঘর আলো করিবে,--নতুবা গঙ্গনায় ঘরেব এক কোণ আলো হইবে, আর এক কোণের আঁধার বাড়িবে,-"তাহা ভাল নিচে । রুচি-পরিবর্তনের পথে গৃহিণীর চলা ভাল নষ্ঠে । ভদ্র গৃহস্থ-ঘরে এই রুচি-বিকার প্রবেশ করিলে যে দুৰ্গতি উপস্থিত হয়, তাহা সকলেই জানেন । "ভারতামিলন’ যাত্ৰাব্য শুনিয়াছি, চিত্ৰকূট পৰ্ব্ববত হইতে রামকে ফিরাইয়া আনিবার জন্য ভারত সন্ন্যাসীর বেশ পরিয়াছিলেন । বলিয়াছিলেন, “আমার হাতের কেয়ার কঙ্কণ লইয়া যাও,--শ্ৰী রামেব পদসেবাই আমার হাতের আভরণ হইবে।”—মেযেদের এই সেবা ধৰ্ম্মই প্ৰকৃত অলঙ্কার । সেই সেবায় তাহারা যেরূপ সুন্দরী হন, কোন গহনা তাহাদিগকে সেই সৌন্দৰ্য্য দিতে পারে না । পুরাতন গহনা ভাঙ্গিতে আমার সর্বদাই আপত্তি। আমাৰ মায়ের হাতের কঙ্কণ-জোড়া মৃত্যুর সময় আমাকে দিয়া, তিনি বলিয়াছিলেন, “তুমি এই কঙ্কণ দিয়া ঘড়ীর চেইন করিয়া লইও ।” আমি কখনই তাচা করিতে পারি নাই । সেই কঙ্কণ দেখা মাত্ৰ মায়ের কোমল দু’খনি হস্ত মনে পড়িয়াছে। সেই গয়নাথানি আমার নিকটে পূজাবি সামগ্ৰীব মত হইয়। আছে, আমি কোন প্ৰাণে তাহা ভাঙ্গিব ? দীর্ঘকাল যে গহনা মেয়েদের গায়ে থাকে, তাহা শুধু সোনার মূল্যে বিকাষনা, তাহার সন্তান ও স্বগণের কল্পনায় তাহা হীরা হইয়া যায় ; পুত্রকন্যারা তাহ পাইয়া ধন্য হয়। ইহা তাহদের বহুমূল্য উত্তরাধিকার, ইহার মূল্য সোনার বাজার-দর নহে । এখন ও বৈষ্ণবগণ চৈতন্যের ছেড়া কথাখিনি দেখিবার জন্য পুরীতে যান,-সেইরূপ একটা ভাব লইয়া আনি মাঝে মাঝে আমার মাঘের কঙ্কণ-জোড়া বাক্স হইতে খুলিয়া দেখি । উহাতে মারধ’রের সঙ্গে কত উপাদেয় খাদ্য ও প্ৰসাদের কথা মনে পড়ে । এক পাগল আমাদিগের বাড়ীর