গৃহ হইতে গৃহান্তরে, রাজপথ হইতে পথান্তরে—উদ্যানে, বিপণিতে, কর্ম্মশালায়, জাহাজ-ঘাটায়, রেল-ষ্টেশনে, ডাকঘরে সর্ব্বত্র এক কথা—চন্দ্রলোকে মানুষ যাবে! কেহ বলিল, মাইকেল আর্দ্দান নামে লোকই নাই—ওটা দুষ্ট-লোকের তামাসা মাত্র! কেহ বলিল, ওটা ফরাসী জাতির পাগলামীর নমুনা। ইহাও কি কখনো সম্ভব যে পৃথিবীর মানুষ চন্দ্রলোকে যাইবে! বাতাস পাইবে কোথায়? নিঃশ্বাস লইবে কি প্রকারে? আাবার ফিরিয়া আসিবে কেমন করিয়া?
তৎক্ষণাৎ লিভারপুলের জাহাজ-ঘাটায় তারে সংবাদ গেল। এক ঘণ্টার মধ্যে উত্তর আসিল,—“টম্পানগরে যাইবার জন্য আট্লাণ্টা জাহাজ বন্দর ছাড়িয়াছে। সেই জাহাজে ফরাসী বৈজ্ঞানিক মাইকেল আর্দ্দান্ যাইতেছেন।”
সংবাদ পাইয়া বার্বিকেনের নয়নদ্বর জ্বলিয়া উঠিল—হস্ত মুষ্টিবদ্ধ হইল।
ম্যাট্সন্ কহিলেন,—“তবে দেখ্ছি এ সেই দুঃসাহসিক মাইকেল আর্দ্দান!”
আমেরিকার নগরে নগরে, গ্রামে গ্রামে মাইকেল আর্দ্দানের নাম মুখে মুখে ফিরিতে লাগিল। অনেকেই কহিল,—“আহা! অতবড় বৈজ্ঞানিক, দেখছি—উন্মাদ-রোগগ্রস্ত হ’য়েছেন!”
বার্বিকেন নিজের মতামত প্রকাশ না করিয়া তাঁহার কণ্ট্রাক্টর ব্রেড-উইল্ কোম্পানীকে জানাইলেন,—“আমি পুনরায় সংবাদ না দিলে গোলা প্রস্তুত করিবেন না।”
এ কথা যাহারা শুনিল, তাহারা কহিল—“ধীর স্থির বার্বিকেনও