প্রিয় * * * বাবু।
আপনার পত্র পাইয়া পরম আপ্যায়িত হইলাম। পত্র মধ্যে ** মূল্যের যে টিকিট ছিল, তাহা বান্ধব আফিশে জমা করিয়া নিয়াছে।
আপনি শিবজীর বিষয় আপাততঃ লিখিবেন না। সকলেই শিবজীর নাম গাহিয়া থাকেন; সুতরাং শিবজীর নামে নূতনত্ব থাকবে না। যদি আমার পরামর্শ গ্রহণ করিয়া করেন, তবে পৃথুরাজের শ্বশৃপতি বীরচূড়ামণি সমরশায়ীকে অবলম্বন করিয়া সুদীর্ঘ একটা কবিতা লিখুন; দুই তিন বারে প্রকাশ করিব। সমরশায়ীর বিষয় টড্ সাহেবের রাজস্থানে সবিস্তার পাইবেন। অথবা আমার বলা অধিকন্তু কারণ এ সকল কথা আমি অপেক্ষা আপনারা অবশ্যই অধিক জানেন। সমরশায়ী স্বদেশের হিতকামনা ঘোরতর সমরব্রত উদযাপন করিয়া কাগ্নার নদীর তটে সমৱশয্যায় শয়ান হন। যদি আপনি লিখেন তবে এই একটা কবিতাতেই যশঃস্বী হইবেন; পৃথুরাজের ভগিনীর সহিত সমরশায়ীর প্রেম, সমরসাহী স্বদেশবাৎসল্য, উগ্রতেজ রণনৈপুণ্য ইত্যাদি কথা ঐতিগসিকের লেখনীতেই কবিতার কমলীয় কান্তি লাভ করিয়াছে;—কবির তুলিকায় উহা কিরূপ চিত্রিত হইবে তাহা স্মরণ করিতেই আমার হৃদয় উল্লাসিত হইয়া উঠে।
বান্ধবের প্রতি আপনার এবং সাহিত্য সমাজের যে সস্নেহ দৃষ্টি রহিয়াছে, ইহা আমার আশার অতীত। ভরসা করি এ অনুগ্রহের স্রোতে শীঘ্রই ভাটা লাগিবে না।
আমি আমার স্বাস্থ্য সম্বন্ধে যে লিখি না সে লজ্জায় শিষ্টাচারের অনুরোধে রোজ মিথ্যা রোজ বলা যায় না। আর