বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:জাতীয় আন্দোলনে রবীন্দ্রনাথ - প্রফুল্লকুমার সরকার (১৯৪৭).pdf/১১৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
উপসংহার
১০৫

তাহা অক্ষরে অক্ষরে ফলিয়াছে। ব্রিটিশ গভর্মেণ্টের তথা আমাদের জননায়কগণের পক্ষে রবীন্দ্রনাথের ঐ কথাগুলি এখনও গভীরভাবে ভাবিয়া দেখা উচিত এবং বাঁটোয়ারার রদ না করিলে দেশের যে কল্যাণ নাই,—রাজনৈতিক তথা সাম্প্রদায়িক শান্তি কখনই প্রতিষ্ঠিত হইবে না, তাহা উপলব্ধি করা কর্তব্য। রবীন্দ্রনাথের সেই সারগর্ভ অভিভাষণ হইতে দুই একটি কথা উদ্ধৃত করিতেছি:—

 “সাম্প্রদায়িক বাঁটোয়ারা দেশের রাজনৈতিক জীবনকে ছিন্নবিচ্ছিন্ন করিবার জন্য একটা অভিশাপ। যে সকল দল ও সম্প্রদায় বাঁটোয়ারা চাহে নাই, তাহাদেরও উপর এই অভিশাপ বর্ষিত হইয়াছে। ভারতবাসীদিগকে রাজনীতি হিসাবে আঠারটা পৃথক ভাবে বিভক্ত করিবার আয়োজন হইয়াছে। মহাত্মা গান্ধী ইহাকে ভারতবর্ষের জীবন্ত ব্যবচ্ছেদ নামে অভিহিত করিয়াছেন। এই ব্যবচ্ছেদের ফলে ভারতবর্ষ প্রাণহীন শব মাত্রে পরিণত হইবে।......

 মুসলমান সম্প্রদায়কে লক্ষ্য করিয়া তিনি বলেন,

 “আসুন, আমরা দূরদর্শিতা অবলম্বন করিয়া বুঝিবার চেষ্টা করি যে, সাবধানীর পৃষ্ঠপোষকতায় যে সুবিধা লাভ হয়, তাহা ভাগ্যবান অনুগৃহীত এবং দুর্ভাগ্য বিমুখ—উভয়ের পক্ষেই সমান ক্ষতিকর। তাহার ফলে যে সকল জটিলতার সৃষ্টি হইবে, তাহা পরস্পরকে পরস্পরের বিরুদ্ধে উস্কাইয়া দিবে এবং যাহারা পৃষ্ঠপোষকতা লাভে সস্তায় কিস্তীমাত করে,