বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:জাপান-যাত্রী - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৩৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৩০
জাপান-যাত্রী

অনেক সময় বড় নাম দিয়ে বিশেষ ভাবে আদর করে’ থাকে।

তোসা-মারু জাহাজ, ২৭শে বৈশাখ, ১৩২৩।


 ২৯ বৈশাখ। বিকেলের দিকে যখন পিনাঙের বন্দরে ঢুকচি, আমাদের সঙ্গে যে বালকটি এসেছে, তার নাম মুকুল, সে বলে’ উঠ্‌ল, ইস্কুলে একদিন পিনাং সিঙাপুর মুখস্থ করে’ মরেচি—এ সেই পিনাং। তখন আমার মনে হল ইস্কুলের ম্যাপে পিনাং দেখা যেমন সহজ ছিল, এ তার চেয়ে বেশি শক্ত নয়। তখন মাষ্টার ম্যাপে আঙুল বুলিয়ে দেশ দেখাতেন, এ হচ্চে জাহাজ বুলিয়ে দেখানো।

 এরকম ভ্রমণের মধ্যে “বস্তুতন্ত্রতা” খুব সামান্য। বসে’ বসে’ স্বপ্ন দেখবার মত। না করচি চেষ্টা, না করচি চিন্তা, চোখের সামনে আপনা আপনি সব জেগে উঠ্‌চে। এই সব দেশ বের করতে, এর পথ ঠিক করে’ রাখ্‌তে, এর রাস্তাঘাট পাকা করে’ তুলতে, অনেক মানুষকে অনেক ভ্রমণ এবং অনেক দুঃসাহস করতে হয়েছে, আমরা সেই সমস্ত ভ্রমণ ও দুঃসাহসের বোতলে-ভরা মোরব্বা উপভোগ করচি যেন। এতে কোন কাঁটা নেই, খোসা নেই, আঁটি নেই,—কেবল শাঁসটুকু আছে,