জীবনে ফুল আসিতে ছিল না। তবে মাঝে মাঝে দুই একজন সহরে বাসিয়া কোকিলের কুহিতান বৃক্ষশাখা হইতে শুনিতে পান, প্ৰাকৃতিক সৌন্দৰ্য্য রাস্তা ঘাটে দেখিতে পান, কিন্তু সে দিন, মোহিত বাবুর বাড়ী আসিবার পথে কিশোর ঐ সমস্ত কিছু দেখে নাই বা ‘শুনিতে পায় নাই। বোধ হয় তাহার মনটা তাহার বউদিদির বিষয় লইয়া এত বেশী আলোচনা করিতে ছিল যে ঐ সমন্ত লক্ষ্য করিবার অবসর পায় নাই । দরজার সামনে ডোরাকে দেখিয়া সে তাহাকে জিজ্ঞাসা করিল, “তোমার দিদি কোথায় ?” ডোরা দরজার সামনে দাড়াইয়া গাছগুলির অবস্থা পরীক্ষা করিতেছিল। সে দূরে কিশোরকে দেখিয়াছিল lar CM ( তাহাদের বাটীতে আসিবে সেটাও বেশ বুঝিয়াছিল। কিন্তু লজ্জায় তাহার দিকে চাহিয়া থাকিতে পারে নাই। কিশোরের কথায় সে ঈষৎ ঘাড় বক্র করিয়া বলিল, “আজো হা। দিদি উপরে আছেন।” “চল ! একবার দিদির সঙ্গে দেখা করবো!” “চলুন!” বলিয়া তোরা কিশোরকে সঙ্গে লইয়া উপরে উঠিতে লাগিল। সিড়িতে তোরা কিশোরকে ‘জিজ্ঞাসা করিল, *হিমাংশুবাবুর আসবার কোন খবর আছে নাকি ?” কিশোর মৃদ্ধ হাসিয়া বলিল, “আপনি কি করে বুঝলেন-?” N98