পাতা:জীবন্মৃত রহস্য - পাঁচকড়ি দে.pdf/১২৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নবম পরিচ্ছেদ অনুসন্ধান যে গৃহে সুরেন্দ্রনাথের মৃতদেহ রক্ষিত হইয়াছিল, দত্ত সাহেব পুনরায় তন্মধ্যে প্ৰবেশ করিলেন । এই সকল গোলযোগে একজন দ্বারবানের নিদ্রাভঙ্গ হইয়াছিল ; সে ভয়ে ভয়ে কঁাপিতে কঁাপিতে ধীরে ধীরে দত্ত সাহেবের সম্মুখীন হইল। অন্যান্য ভূত্যকে ডাকিয়া আনিবার জন্য দত্ত সাহেব তাহাকে পাঠাইয়া দিলেন। অনতিবিলম্বে সদ্যোনিদ্রোখিত চাকর-বাকরের কলরবে গৃহ পরিপূর্ণ হইয়া উঠিল। মিঃ দত্ত উভয় হস্ত উৰ্দ্ধে আন্দোলন করিতে করিতে বলিলেন, “চুপ কর-এ গোলযোগের, সময় নয়। এখন কাজ চাই-কথায় কোন কাজ হইবে না । তোমাদের মধ্যে দু’জন রহিমবক্সকে এখান হইতে তাহার ঘরে লইয়া যাও । একজন গিয়া শীঘ্ৰ কোচ ম্যানকে খবর দাও, সে যেন এখনই গাড়ী লইয়া ডাক্তার বেণ্টউডকে আনিতে যায়। আসিবার সময়ে ইনস্পেক্টর গঙ্গারাম বাবুকে সঙ্গে করিয়া আনে। আর একজন গিয়া এখনই বাহির বাড়ী হইতে সেই কনেষ্টবলটাকে ডাকিয়া আন । আর বাকী সকলে একটা লণ্ঠন লইয়া বাগানের ভিতরে বাহিরে চারিদিক সন্ধান করিয়া দেখা ।” ভৃত্যগণ নির্দেশানুসারে যে যাহার কাজে চলিয়া গেল। অল্পক্ষণ পরে কোটের বোতাম লাগাইতে লাগাইতে কনেষ্টবল আসিয়া হাজির হইল। এবং শূন্য শয্যা দেখিয়া তাহার হৃদয় একেবারে