বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:জীবন্মৃত রহস্য - পাঁচকড়ি দে.pdf/১৬৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

'S 88 জীবন্মত-রহস্য সেলিনা কহিল, “জুলেখার সহিত দেখা করিলে আপনি সহজে সকলই বুঝিতে পরিবেন। জুলেখা আমারই জন্য একটা 4ওঁষধ তৈয়ারি করিয়া সেই রুমালে লাগাইয়াছিল ; হয়ত আপনি সেই ঔষধের গন্ধকে আপনার বিষ-গুপ্তির বিষের গন্ধ মনে করিতেছেন।” ছখন সেলিনার সঙ্গে দত্ত সাহেব দ্বিতলের বারান্দায় আসিয়া উপস্থিত তইলেন ; তখন জুলেখা বারান্দার অপরপাশ্বের ফুলগাছগুলির টবে জল । ঢালিতেছিল। জুলেখাকে দেখিয়া দত্ত সাহেব সেইখানে দাড়াইলেন, এবং সেলিনাকে দাড়াইতে বলিয়া বলিলেন, “আর একটা কথা আছে, বেণ্টউড যে সেই রুমাল কুড়াইয়া লইয়া ব্যাণ্ডেজ করিয়াছিলেন, তাহা তুমি কিরূপে জানিতে পারিলে ?” সেলিনা কহিল, “একদিন ডাক্তার বেণ্টউডকে আমার মা’র কাছে এ কথা বলিতে শুনিয়াছি।” দত্ত সাহেব কহিলেন, “বটে, কিন্তু তিনি এ রুমাল সেখানে কিরূপে পাইলেন, সে সম্বন্ধে কোন কথা জিজ্ঞাসা করেন নাই ?” সেলিনা কহিল, “না, সে কথা औार्भि ঠিক বলিতে পারিলাম না। কই, তঁহাকে সে সম্বন্ধে কোন কথা জিজ্ঞাসা করিতে আমি শুনি ਸ দত্ত সাহেব কহিলেন, “কথাটা যেন কেমন শুনাইতেছে ; রুমালখানা কোথা হইতে আসিল, কে আনিল, এ সম্বন্ধে তিনি কোন কথাই তখন জিজ্ঞাসা করিলেন না ; কি আশ্চৰ্য্য! বিশেষতঃ তুমি যে সে রাত্রে আমাদের বাড়ীতে গিয়াছিলে, তিনি তাহার বিন্দুবিসর্গ অবগত নহেন।” সেলিনার মুখমণ্ডল আরক্ত হইয়া উঠিল। মৃদুকণ্ঠে বলিল, “সে রাত্রে আমি যে আপনাদের বাড়ীতে গিয়াছিলাম, তাহা তিনি জানেন। আমার মা ডাক্তার বেণ্টউডকে আমার পীড়ার কথা