পাতা:জীবন্মৃত রহস্য - পাঁচকড়ি দে.pdf/১৭০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নবম পরিচ্ছেদ জুলেখার কৌশল সেলিনা জুলেখাকে কহিল, “সেই বিষ-গুপ্তি চুরির কথা ইহার মধ্যেই ভুলিয়া গেছিস, জুলেখা ? তুই চুরি করিয়াছিস বলিয়া তোর উপরে কত भ८न्ट् छ्८ञ्जछ्द् ि।।” জুলেখা বলিল, “হঁ। হুজুর, এখন আমার ঠিক মনে পড়েছে। আমার উপরেই সকলের সন্দেহ হয়েছিল যে, আমি সেই চালেন-দেশম চুরি করিয়া আনিয়াছি, তাতে এমূতন বিষ দিয়ে ছোট সাহেবকে খুন করেছি।” দত্ত সাহেব কহিলেন, “তুমি খুন করি আর নাই কর, সেই চালেনদেশমের বিষের সাহায্যেই ছোট শাহেবের মৃতদেহ কেহ চুরি করিয়াছে।” অধীরভাবে জুলেখা কহিল, “তা’ হবে, তা” হবে।--আমি তার কিছু জানি না। হুজুরের চালেন-দেশমের ভিতরে কি বিষ ছিল ?” দত্ত । বিষ ছিল, শুখাইয়া গিয়াছিল । জুলে। তাতে ক্ষতি কি, একটু জল দিলেই বিষ আবার তেঁমনি তেজাল হইয় ওঠে। হুজুর, আমার কোন দোষ নাই, আমি চালেনাদেশম দেখিনি । তবে রুমালে যে দাওয়াই আছে, তা” আমি সেলিনার জন্য তৈয়ারী করেছি। বাক্যশেষে জুলেখা দত্ত সাহেবের উত্তর প্রতীক্ষায় যোড়াহুস্তে র্তাহার মুখের দিকে বিনীতভাবে চাহিয়া রহিল। দত্ত সাহেব। আর কিছুই বলিলেন না ।