পাতা:জীবন্মৃত রহস্য - পাঁচকড়ি দে.pdf/১৭৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আমিনা সুন্দরী Sv) সেই সৌন্দৰ্য্য কোন সুন্দরে দেখিবে না। প্ৰেম প্ৰথমে দৃষ্টিতে জন্মগ্রহণ করিয়া তৎপরে হৃদয়ের মধ্যে প্ৰতিপালিত ও প্রতাপবান হইয়া উঠিতে থাকে। এমনও অনেক দেখা গিয়াছে, আমার কাছে যাহা অশেষ সৌন্দৰ্য্যময়, তাহাই আবার তোমার চক্ষে বিষ ঢালিয়া দেয়। কথাটা খুব সহজ, পাঠক, তোমার চক্ষে মিশরী-সুন্দরী সৌন্দৰ্য্যের রাণী ক্লিওপেট্রার অপেক্ষা তোমার প্ৰিয়তমা শতগুণে রূপলাবণ্যময়ী ; হয় তা তুমি আমার উপন্যাস পড়িতে পড়িতে পাঠ বন্ধ রাখিয়া বারংবার তাহার মুখখানির দিকে অনিমেষলোচনে চাহিয়া থাক ; আর যদি অভ্যাস থাকে, শটুকার নিলে সুগন্ধি তাম্রকুটধুমের সহিত তন্ময়চিত্তে চন্দ্ৰোপম মুখখানির সৌন্দৰ্য্যসুধা পান করিয়া করিয়া আশা আর মিটে না-কিন্তু, তোমার সেই লোচনানন্দবিধায়িনী প্ৰিয়তমার কেহ যদি সপত্নী থাকেন-[ এমন যেন না হয়, ঈশ্বর না করেন-] সেই পত্নীর চক্ষে তাহার সেই অতুল রূপরাশি একটা অসহ বিভীষিকার ন্যায় প্রতীয়মান হয়। যে সৌন্দৰ্য্যে তোমার হৃদয় পরিপ্লত হইতে’থাকৈ-সেই একই সৌন্দৰ্য সপত্নীর হৃদয়ে বিষের দহন উপস্থিত করে। যাক, আমিনার একটু পরিচয় দিতে অনেক কথা বলিতে আরম্ভ করিয়া দিয়াছি। দত্ত সাহেব দেখিলেন, আমিনার পূর্বভাবের কিছু বৈলক্ষণ্য ঘটিয়াছে ; তাহার চক্ষু রক্তবর্ণ, দৃষ্টি উদাস, এবং তাঁহাতে যেন একটা বিষন্নতা ও একটা কিসের আগ্ৰহ স্পষ্টীকৃত হইয়া উঠিয়াছে। দত্ত সাহেব আমিনার দিকে চাহিয়া রহিলেন, কিছু বলিলেন না। আমিনা সহসা বলিলেন, “আপনার সহিত আমার একটা বিশেষ কথা আছে- কথাটা বিশেষ প্রয়োজনীয় ; সম্ভবতঃ আপনার অনুসন্ধানকাৰ্য্যে তাহাতে অনেক সাহায্য হইতে পারে।” দত্ত সাহেব সাগ্রহে জিজ্ঞাসা করিলেন, “মৃতদেহ অপহরণ সম্বন্ধে কি ?