পাতা:জীবন্মৃত রহস্য - পাঁচকড়ি দে.pdf/১৯২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চতুৰ্দশ পরিচ্ছেদ হত্যাকারী কে ? আমিনা বিস্ময়াবিষ্ট হইয়া কহিল, “বেণ্টউডের সহিত আপনার ত খুব বন্ধুত্ব ।” একটা দীর্ঘনিঃশ্বাস ফেলিয়া কক্ষমধ্যে পরিক্রমণ করিতে করিতে দত্ত সাহেব মস্তকান্দোলনের সহিত বলিতে লাগিলেন, “হা, পরমবন্ধু। আমি কালসৰ্প লইয়া বুকে পোষণ করিয়াছিলাম ; এখন সে দংশন করিয়াছে। আমি শীঘ্রই বেণ্টউডের দুহিত দেখা করিব। এখন বুঝিতে পারিলাম, তাহার দ্বারাই এই সকল কাণ্ড হইতেছে।” তীক্ষবুদ্ধি নিপুণ পাঠকগুণ, বক্ষ্যমাণ ঘটনাসূত্রে প্রকৃত হত্যাকারী ধৃত হইবার পূর্বে, এই সময় হইতে আপনারাও একবার প্রকৃত হত্যাকারীকে নির্দেশ করিতে চেষ্টা করিয়া দেখিবেন । এই হত্যাসম্বন্ধে আনেকেরই উপরে সন্দেহ হয় ; বেণ্টউডের উপরে সন্দেহ ঘনীভূত হইয়াছে ; বেণ্টউডের দ্বারা এ হত্যাকাণ্ড সম্পন্ন হইতে পারে, তাহার যেমন একটা বিশেষ কারণ আছে। অমরেন্দ্রকে সন্দেহ করিলেও সেইরূপ একটা বিশেষ কারণ পাওয়া যায়-স্ত্রীলোকের রূপমোহে ভাই ভাইএর বুকে ছুরি বসাইতে কুষ্ঠিত হয় না। সুরেন্দ্রনাথের প্রতি জুলেখার যেরূপ ঘূণা ও বিদ্বেষ এবং সেই সুরেন্দ্রনাথেরই সহিত সেলিনার বিবাহের কথা হইতেছিল, ইহাতে জুলেখার উপরেও সন্দেহ হইতে পারে। এইরূপ একটা কারণে সেলিনার মাতার উপরেও কিছু যে সন্দেহ না হয়, এমন নহে।