পাতা:জীবন্মৃত রহস্য - পাঁচকড়ি দে.pdf/১৯৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

a শুশ্রীবন্মত-রহস্য বুঝিয়াছিলাম, সহজে কিছু হইবে না। যাহা হউক, বিশ্বাস আছে, অমরেন্দ্ৰ নাথের সাহায্যে আমি অনেক সুবিধা করিতে পারিব। যথেষ্ট উৎসাহয়িত্রীর ভাব দেখাইয়া আমিনা” বলিল, “আমিও আপ_নার সাহায্য করিতে সাধ্যমত চেষ্টা করিব । যখন যে কোন সন্ধান পাইখ, আপনাকে জানাইব। আপাততঃ আমি উঠিলাম। আশানুল্লার কি করিবেন ?” দ। সে এখন এইখানেই থাকিবে । আ । দেখিবেন, যেন না পলাইয়া যায়। দ। না, সে ভয় কিছুমাত্ৰ নাই। পেট ভরিয়া খাইতে পাইলে সে নিজেই নড়িতে চাহিবে না। আমার খুব বিশ্বাস, সে হত্যাকাণ্ডে আদৌ লিপ্ত নাই। তাহা হইলে সে কখনই বিনাপত্তিতে এক কথায় আমার এখানে থাকিতে চাহিত না। তাহার নিকটে বেণ্টউড ও জুলেখার ভিতরের অনেক কথা পরে পাওয়া যাইতে পারে। প্ৰথমে আমাকে আরও সন্ধান করিয়া দেখিতে হইবে, জুলেখা, বেণ্টউডকে কেন এত ভয় य0 । আ। আশানুল্লা সে বিষয়ে কি জানে ? সে কথা জুলেখা নিজে বলিতে পারে । দ। বেণ্টউডও বলিতে পারে। যাহা হউক, আগে কোন রকম প্রমাণ সংগ্ৰহ করিয়া যদি বেণ্টউডকে গ্রেপ্তার করিতে পারি, তখন বেণ্টউডের নিকটেও এ কথা পাওয়া যাইবে, বোধ হয়। তাহার পর নিজে যাইয়া দত্ত সাহেব আমিনাকে তাহার গাড়ীতে উঠাইয়া দিয়া আসিলেন ।