পাতা:জীবন্মৃত রহস্য - পাঁচকড়ি দে.pdf/২০০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ङ-ळ**) » ዓ4 ̇ নিকটবৰ্ত্তী হইলেন। দেখিলেন, তাহার হাতে সেই বিষ-গুপ্তি ! বিষগুপ্তি দেখিয়া অমরেন্দ্ৰনাথের মলিনমুখ আরও মলিন হইয়া গেল। সেই বিষ-গুপ্তির প্রতি কম্পিত অঙ্গুলি নির্দেশ করিয়া তদধিক কম্পিত্যকণ্ঠে কহিলেন, “একি ! আপনি এ বিষ-গুপ্তি কোথায় পাইলেন ?” দত্ত । আমিন আমাকে দিয়া গিয়াছে । অমর । [ চকিতে ] আমন-আমিনঅমরেন্দ্ৰনাথের কণ্ঠ রুদ্ধ হইয়া গেল। দত্ত সাহেব অমরেন্দ্ৰনাথের এরূপ অত্যুৎদ্বিগ্নভােব দেখিয়া সাতিশয় আশ্চৰ্য্যান্বিত হইলেন। কহিলেন, “আমিনার উপরে সন্দেহের কোন কারণ নাই। আশানুল্লা তাহার নিকটে এ বিষ-গুপ্তি বিক্রয় করিতে আসিয়াছিল। এই কতক্ষণ পূর্বে আমিন তাহাকে সঙ্গে করিয়া এখানে আসিয়াছিল ।” বিস্ময়বিকম্পিত্যকণ্ঠে অমরেন্দ্ৰনাথ বলিল, “আশানুল্লা ! সে এ বিষগুপ্তি কোথায় পাইল ? তাহারও সহিত কি এ হত্যাকাণ্ডের কোন সংস্রব আছে মনে করেন ?” দ। না, সে নিজে ঐ হত্যাকাণ্ডে লিপ্ত নাই । সে সেলিনাদের বাড়ীর গেটের নিকটে ইহা কুড়াইয়া পাইয়াছে মাত্ৰ। অ । এ বিষ-গুপ্তি সেখানে কে ফেলিল ? দ। কে ফেলিল, সে কথাই এখন আমি জানিতে চাই। কাহার দ্বারা এ কাজ হইয়াছে, একবার সন্ধান করিয়া দেখ দেখি ; তাহার পর কেমন করিয়া সুরেন্দ্রনাথের হত্যাকারীকে ফাঁসীকাঠে তুলিয়া দিতে হয়, তাহা আমার কাছে দেখিতে পাইবে । অমরেন্দ্রনাথ বিস্ময়চকিতদৃষ্টিতে অনেকক্ষণ দত্ত সাহেবের মুখের দিকে চাহিয়া রহিলেন। তাহার পর বলিলেন, “আপাততঃ যতদূর আপনি অগ্রসর হইয়াছেন, তাহাতে কাহার উপরে আপনার সন্দেহ হয় ?”