পাতা:জীবন্মৃত রহস্য - পাঁচকড়ি দে.pdf/২২৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দত্ত সাহেবের ডিটেকটিভগিরি SSR) লাগাইয়া, বিছানার নীচে লুকাইয়া থাকা, রহিমবক্সকে অজ্ঞান করা, তোমার এই সব কথাগুলা কে বলিবে ?” কথাগুলা শুনিয়া ভয়ে জুলেখার চােখ দুটা কপালে উঠিয়া গেল। জুলেখা ভাবিয়া ঠিক করিতে পারিল না, দত্ত সাহেব এ সকল কথা কিরূপে জানিতে পারিলেন। সহসা জুলেখা কোন কথা কহিতে পারিল না। অনতিবিলম্বে কিছু প্ৰকৃতিস্থ হইতে পারিল। তখন কিছু সাহসসঞ্চয়পূর্বক দত্ত সাহেবের মুখের দিকে চাহিয়া একবার সশব্দে অবিশ্বাসের হাসি হাসিয়া উঠিল। জুলেখার সেই উচ্চহাস্তে দত্ত সাহেব অধিকতর বিরক্ত হইয়া কহিলেন, “শুধু ইহাই নহে, তাহার পর বাহিরের দিক্কার জানালা খুলিয়া বেণ্টউডকে ঘরের ভিতরে আসিতে দিয়াছিলে ; এবং দুইজনে মিলিয়া সুরেন্দ্রনাথের লাস চুৰী ফুরিয়া লইয়া গিয়ােছ।” “লাস-চুরী-সুরেন্দ্রনাথের-"জঙ্কিতকণ্ঠে বলিতে মালিতে জুলেখা সভয়বিস্মরে দুইপক্ষ পশ্চাতে ফুটিয়া গেল। পূৰ্ব্বাপেক্ষা স্বর আরও উচ্চ করিয়া দত্ত সাহেব কহিলেন, “ই সুরেন্দ্রনাথের লাস, বেণ্টউড আর তুমি দুজনে মিলিয়া চুরি করিয়া লইয়া গিয়াছ। জুলেখা, এখন আর অস্বীকায় করিলে চলিবে না।--তাহাতে কোন ফল নাই ; আমি তোমার মুখ দেখিয়া সব বুঝিতে পারিতেছি।” বলিয়া দত্ত সাহেব স্থির তীক্ষদৃষ্টিতে জুলেখার মুখ নিরীক্ষণ করিতে লাগিলেন। দত্ত সাহেৰোঁর কথায় জুলেখার আপাদমস্তক ঘন ঘন কম্পিত হইতে লাগিল। রাগে কি ভয়ে জুলেখার সর্বাঙ্গে সে কম্প সমুপস্থিত, দত্ত সাহেব তাহ নিৰ্ণয় করিতে পারিলেন না । এমন সময়ে বারান্দার পার্শ্বমৰ্ত্তী একটা গৃহের দ্বার উন্মোচন করিয়া, মিসেস মালুশন স্তম্ভিতত্তানে