বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:জীবন্মৃত রহস্য - পাঁচকড়ি দে.pdf/২৪০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রহস্য-গভীরতম RSVØ সেলিনা বলিতে লাগিল, “যে দিন রাত্রে আপনার বিষ-গুপ্তি অপহৃত হয়, সেইদিন আমি উপরের বারান্দায় একাকী বসিয়াছিলাম। উজ্জল জ্যোৎস্নালোকে চারিদিক “ বেশ সুস্পষ্ট দেখা যাইতেছিল। সেই উজ্জ্বল জ্যোৎস্নালোকে নীচের দিকে চাহিয়া দেখিলাম, কোথা হইতে জুলেখার সহিত আমার মা বাহির হইয়া আসিলেন, তাহার পর সম্মুখদ্বারে গিয়া দাড়াইলেন। জুলেখাও সঙ্গে সঙ্গে গোপনে গেল। আমি ছায়ার মধ্যে বসিয়াছিলাম, তাহারা কেহই আমাকে দেখিতে পায় নাই। জুলেখা একবার সতর্ক দৃষ্টিতে চারিদিকে চাহিয়া আমার মাকে হাত মুখ নাড়িয়া কি বলিল, এবং অঙ্গুলিনির্দেশে আপনাদিগের বাড়ী দেখাইয়া দিল । তাহার পর মন্ত্র বলিতে বলিতে দুই-একবার মার আপাদমস্তক হস্ত সঞ্চালন করিল। তখনই মা টালিতে টলিতে অথচ দ্রুতপদে আপনাদিগের বাটীর দিকে চলিয়া গেলেন, সেই সময়ে উজ্জল চন্দ্ৰলোকে আমার মার মুখের দিকে চাহিয়া আমি অত্যন্ত ভীত হইলাম। সে মুখ যে তখন কেমন এক রকম বিবৰ্ণ দেখিলাম, তাহা জীবিত মনুষ্যের বলিয়া বোধ হইল না। চক্ষুঃ অৰ্দ্ধ নিমীলিত। তাহার পর তিনি-” বাধা দিয়া দত্ত সাহেব কহিলেন, “বুঝিয়াছি—মন্ত্র নহে, পিশাচী জুলেখা তোমার মাকে হিপ'নটাইজ করিয়াছিল।” সেলিনা কহিল, “তাঁহাই হইবে, তাহার পর মা চলিয়া গেলে, জুলেখা আবার বাড়ীর ভিতরে চলিয়া আসিল । মার মুখ দেখিয়া আমার অত্যন্ত ভয় হইয়াছিল, আমি আর স্থির থাকিতে পারিলাম না—ছুটিয়া বাড়ীর বাহির হইয়া আসিলাম। মা যে পথে গিয়েছিলেন, সেইদিকে প্ৰাণপণে ছুটিতে লাগিলাম। আপনার বাড়ীর কাছে গিয়া দেখিলাম, মা তখন আপনাদের বাগানের মধ্যে আসিয়া পড়িয়াছেন। আমি আর অগ্রসর হইতে সাহস করিলাম না ; সেইখানে দাড়াইলাম। দাড়াইয়া দেখিতে