&总总 জীবন্মত-রহস্য দত্ত সাহেব ভাবিতে ভাবিতে ক্ৰমে নিজের বাটীতে আসিয়া উপস্থিত হইলেন। দেখিলেন, বাটীর বহিদ্বারে অমরেন্দ্ৰনাথ দাড়াইয়া । অমরেন্দ্রনাথ কহিলেন, “ডাক্তার বেণ্টউড ও গঙ্গারাম বাবু আপনার অপেক্ষায় বাহিরের ঘরে বসিয়া আছেন।” দত্ত । হঁ, সেইজন্যই আমি তাড়াতাড়ি আসিতেছি । আমি তাহাদের দুজনকেই আসিতে লিখিয়াছিলাম। অ । [ বিস্মিতভাবে ] আপনিই আসিতে লিখিয়াছিলেন ? দত্ত। ই অমর, তুমি শুনিয়া আরও বিস্মিত হও-আমি গঙ্গারাম বাবুকে দিয়া বেণ্টউডকে গ্রেপ্তার করাইব । অ। ডাক্তার বেণ্টউডকে গ্রেপ্তার করাইবেন-কি ভয়ানক ! কোন অপরাধে ?” দত্ত। [ তীক্ষকণ্ঠে ] সুরেন্দ্রনাথের হত্যািপরাধে। একি, তুমি যে আমার কথা শুনিয়া একেবারে আকাশ হইতে পড়িলে ! অমর, আমি মিথ্যাকথা বলি নাই। তোমার সাহায়ো ব্যতিরেকে আমি প্রকৃত হত্যাকারীকে সন্ধান করিয়া বাহির করিয়াছি। ডাক্তার বেণ্টউড সেই হত্যাপরাধী। [সিস্নেহে ] অমর, তুমি যে কেন তখন আমার নিকটে কোন কথা প্ৰকাশ কর নাই, তাহার কারণ আমি এখন জানিতে পারিয়াছি। শিহরিয়া অমর কহিলেন, “কি সৰ্ব্বনাশ! কিরূপে আপনি তাহা জানিতে পারিলেন ?” দত্ত সাহেব সস্নেহে বলিতে লাগিলেন, “যাক, সেজন্য আমি আর কিছুমাত্র দুঃখিত নহি, তোমার উপরেও আমার আর কিছুমাত্র রাগ নাই ; বরং আমি এখন মনে মনে সুখী হইয়াছি, তুমি খুব বুদ্ধিমানের কাজই করিয়াছি।”