পাতা:জীবন্মৃত রহস্য - পাঁচকড়ি দে.pdf/২৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Y জীবন্মত-রহস্য সেই বিষাক্ত অস্ত্রটা এক হস্ত পরিমিত দীর্ঘ। দেখিতে অনেকটা কঁচা বেতের মতন, কিন্তু সেটা বেত নহে, কোন গাছের শাখা-প্ৰস্তরের ন্যায় শক্ত। দুই মুখ ছোট বড় চুনী পাল্লায় খচিত-সোণা দিয়া বঁধান ; সেটা মোটামুটি কারুকাৰ্য্যে শিল্প-চাতুৰ্য্যের তেমন কোন বিশেষ পরিচয় ॐ & १ । । বেণ্টউড জিজ্ঞাসা করিলেন, “আপনি এ অদ্ভুত অস্ত্ৰ কেমন করিয়া সংগ্ৰহ করিলেন ?” দত্ত মহাশয় গম্ভীর ভাবে বলিতে লাগিলেন, “অনেক কষ্টে সংগ্ৰহ হইয়াছে, মিষ্টার বেণ্টউড-অনেক কষ্টে! ছোটনাগপুরের কোল জাতিদের যে প্ৰধান মানকী, তাহার কাছে ছিল। তাহাদের সমাজের মধ্যে মানকী হৰ্ত্তাকর্তা বিধাতা। কেহ কোন অপরাধ করে, মানকী তাহার দণ্ড দিবে; এমন কি তাহদের মধ্যে যে কেহ যে কোন একটা কাজ করিবে, আগে মানকীর কাছে তাকে আবেদন করিতে হইবে। যাহাকে সহজে বশে আনিতে না পারে, এমন কোন হ্রদান্ত লোককে হত্যা করিতে হইলে মানাকীকে এই অস্ত্ৰ ব্যবহার করিয়া নিজের অভীষ্ট সিদ্ধ করিতে হয়। তাহারা এই অস্ত্ৰকে ‘চালেন-দেশম বলিয়া থাকে। আমি নিজে ইহার নাম রেখেছি, “বিষ-গুপ্তি’। এই দেখুন-না, এটা অনেকটা গুপ্তিছড়ীর ধরণে তৈয়ারী।” এই বলিয়া দত্ত মহাশয় সেই বিষ-গুপ্তির গোড়ার দিকের একখানি সুন্দর নীল পাথরের উপর যেমন অঙ্গুষ্ঠের একটু চাপ দিলেন, সেটার অপর মুখ দিয়া সৰ্প জিহবার ন্যায় একটী ক্ষুদ্র ও তীক্ষামুখ লৌহ-শলাকা বাহির হইল। ছাড়িয়া দিতে সেই লৌহ-শলাকা তৎক্ষণাৎ ভিতরে অন্তহিঁত হইয়া গেল । বেণ্টউড বলিলেন, “ঐ সূচের অগ্রভাগটা বোধ হয় বিষাক্তা।”