বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:জীবন্মৃত রহস্য - পাঁচকড়ি দে.pdf/২৮১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

R6R 3 জীবন্মত-রহস্য গভর্ণমেণ্টপক্ষীয় ব্যারিষ্টার উঠিয়া উপস্থিত মোকদ্দমা বিচারপতিকে বুঝাইয়া বলিতে আরম্ভ করিলেন, “আসামী মিঃ বেণ্টউড একজন কৃতবিদ্য লব্ধপ্ৰতিষ্ঠ চিকিৎসক । ঘটনাক্রমে নিস সেলিনার উপরে আসামীর অনুরাগ সঞ্চার হয়। সে অনুরাগের কারণ সেলিনার সৌন্দৰ্য্য নহে, তাহার অতুল ঐশ্বৰ্য্য। অর্থ কাজক্ষায় আসামী সেলিনাকে বিবাহ করিবার জন্য বদ্ধপরিকর হইয়া উঠিয়াছিলেন ; কিন্তু সুরেন্দ্ৰনাথ তাহার অভীষ্টসিদ্ধির প্রধান অন্তরায় ছিলেন, তখন সেলিনা সুরেন্দ্রনাথকে ভালবাসিতে আরম্ভ করিয়াছিলেন, এবং সুরেন্দ্ৰনাথের সহিত সেলিনার বিবাহ একপ্রকার স্থির হইয়া গিয়াছিল । এই সময়ে আসামীপক্ষের ব্যারিষ্টার অমরেন্দ্ৰনাথ বাধা দিয়া কহিলেন, “কে আপনাকে বলিল, সুরেন্দ্ৰনাথের সহিত সেলিনার বিবাহ স্থির হইয়া গিয়াছিল ? আপনি বোধ হয় জানেন না, এ বিবাহে সেলিনার भऊिांद्र ख्icी नशडि क्लि नां ।” কোম্পানী-তরফের ব্যারিষ্টার কহিলেন, “জানি, সেলিনার মাতার মৰ্ম্মতির অসন্মতির কথা উত্থাপন প্রাসঙ্গিক হয় না। বিশেষতঃ নিজে মিস সেলিনা যখন সুরেন্দ্রনাথকে বিবাহ করিবার জন্য একান্ত কৃতসঙ্কল্প ছিলেন, তখন বিবাহ এক রকম স্থির হইয়াই গিয়াছিল, বলিতে হইবে। মাতার সম্মতি তখন না থাকিলে, পরে তিনি অবশ্যই সম্মত না হইয়া থাকিতে পারিতেন না । সেলিনা তাহার একমাত্ৰ কন্যা, পরম মেহের পাত্রী, তিনি কখনই সেলিনার মনোমালিন্যের কারণ হইতে পারিতেন না। বিশেষতঃ সেলিন অপাত্রে হৃদয় অৰ্পণ করেন নাই ; অথবা সুরেন্দ্ৰনাথ সেলিনার মাতার জামাতৃপদের অযোগ্য ছিলেন না। আপনার এই প্ৰতিবাদ ঠিক হয় নাই। আসামী যখন দেখিলেন, সুরেন্দ্রনাথ জীবিত থাকিতে সেলিনা লাভের আর কোন উপায় নাই, তখন তিনি