পাতা:জীবন্মৃত রহস্য - পাঁচকড়ি দে.pdf/৩৩২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রহস্য সংযোগ “বেশ কথা ।” বলিয়া বেণ্টউড বিদায় লইলেন। ঘরের বাহিরে গিয়া, হঠাৎ একটা কথা মনে পড়ায়, ফিরিয়া দাড়াইয়া কহিলেন, “আর একটা কথা, সেলিনা সুরেন্দ্রনাথকে হত্যা করিয়াছে, ইহা আপনি সেলিনার নিকটে প্ৰকাশ করিবেন না ।” দত্ত সাহেব একটু ভাবিয়া কহিলেন, “না, এখন কোন কথা বলিব না । কিন্তু ইহার পর বলিব-অমর যাহার জন্য নিজের প্রাণ দিয়াছে, সে ইহা জানিবে না ?” বেণ্টউড কহিলেন, “জানিয়া লাভ কি ? লাভের মধ্যে ইহাই হইবে, যখন সেলিনা জানিবে, সে নিজেই সুরেন্দ্রনাথকে খুন করিয়াছে, তাহার অপরাধে নিরপরাধ অমরেন্দ্ৰ প্ৰাণ দিয়াছে, তখন সেলিনার মনের অবস্থা কি ভয়ানক হইবে, ভাবিয়া দেখুন দেখি ; হয় তা সে চিরকালের জন্য উন্মাদিনী হইয়া যাইবে । সৈলিনা এখন এক রকম বেশ আছে, কেন আর তাহাকে চির ব্যথিত করিবেন ? আমি আপনাকে বিশেষ করিয়া বলিতেছি, ঘূণাক্ষরেও আপনি সেলিনার কাছে কোন কথা প্ৰকাশ করিবেন না।--তাহার সর্বনাশ করিবেন না । বিশেষতঃ যতক্ষণ না কাল আমি আপনার সহিত দেখা করিতেছি, ততক্ষণ আপনি এ বিষয়ে খুব সাবধানে থাকিবেন। আপনি বরং ইহার জন্য শপথ করুন।” দত্ত সাহেব কহিলেন, “ভাল, তাহাই হইবে, আমি স্বীকার কবিলাম, সেলিনাকে কোন কথা বলিব না ।” পরীক্ষণে বেণ্টউড চলিয়া গেলেন।