পাতা:জীবন্মৃত রহস্য - পাঁচকড়ি দে.pdf/৩৩৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Vd o 3 জীবন্মত-রহস্য সেলিনার মাত কহিলেন, “যাহা প্ৰকাশ হইবার তাহা ত হইয়াছেসকলই আমরা শুনিয়াছি। যাহা হউক, আপনি যে বেণ্টউডের কথামত আমাদিগকে আসিতে লিখিয়াছেন, সে কথা পূৰ্ব্বে জানিতে পারিলে কখনই আমরা আসিতাম না । আপনি বড় অন্যায় করিয়াছেন । আমি এখনই উঠিলাম, নারকী বেণ্টউডের সহিত আমি দেখা করিতে চাহি না,” বলিয়া, তথা হইতে দ্রুত উঠিয়া যেমন কক্ষের বাহির হইতে যাইবেন, দেখিলেন - দ্বার-সম্মুখে সহান্তমুখে ডাক্তার বেণ্টউড দাড়াইয়া। দেখিয়া স্তস্তিতভাবে দাড়াইলেন । ডাক্তার বেণ্টউড তাহাকে কহিলেন, “আপনি কোথায় যাইতেছেন ? বসুন, যাইবেন না। আপনাকে আবশ্যক আছে। একটু অপেক্ষা করিলে, একটা আশ্চৰ্য্য ব্যাপার দেখিতে পাহবেন।” বেণ্টউডের কথায় দত্ত সাহেবের ন্যায় মিসেস মারশনেরও ক্রোধটা অজ্ঞাতভাবে সহসা কৌতুহলে পরিণত হইয়া গেল। তিনি কহিলেন, “কি এমন আশ্চৰ্য্য ব্যাপার ?” r বেণ্টউড সহস্তে কহিলেন, “দেখিতে পাইবেন-দেখিতে পাইবেনঅপেক্ষা করুন, তাড়াতাড়ি করিবেন না । [ সেলিনার প্রতি ] এই যে তুমি ও আসিয়াছ, ভালই হইয়াছে। তুমি কি শুকাইয়া গিয়াছ y তোমাকে দেখিয়া যে সহসা চিনিতে পারিবার যো নাই। যাহা হউক, যাহাতে তোমার মলিনমুখে শীঘ্ৰ হাসি আসে, তাহা আমি করিতেছি।” “দণ্ড সাহেবের প্রতি। “আর আপনি মিঃ দত্ত, আপনাকে ও বলি—” বাধা দিয়া দত্ত সাহেব কহিলেন, “আমাকে আর কিছু বলিতে হইবে না। -আমি তোমার বাজে কথা আর শুনিতে চাই না-তুমি আমার সুরেন্দ্রনাথের মৃতদেহ চুরি করিয়া কি করিলে, আমি কেবল তাহা এখনই জানিতে চাই ।”