বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:জীবন্মৃত রহস্য - পাঁচকড়ি দে.pdf/৬৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

একাদশ পরিচ্ছেদ V3 (C. বেণ্টউড চলিয়া গেলে সুরেন্দ্ৰনাথ সেলিনার মাতাকে বলিলেন, “বোধ হয়, জুলেখার পরামর্শে আপনি আমার সহিত এরূপ ব্যবহার করিতেছেন। একটা অশিক্ষিতা সাওতালনী আপনার ন্যায় সুশিক্ষিতা বুদ্ধিমতীকে যে এরূপে নিজের ইচ্ছানুসারে পরিচালিত করিতেছে, ইহা বড়ই আশ্চর্য্যের বিষয় ।” সেলিনার মাতা বলিলেন, “জুলেখা এ সম্বন্ধে আমাকে কোন কথা বলে নাই। যদিও আমি কোন কোন বিষয়ে তার পরামর্শ লইয়া থাকি, কিন্তু এ বিষয়ে আমি তা” আবশ্যক বোধ করি না । তোমার সহিত সেলিনার বিবাহ দিতে আমার আদৌ ইচ্ছা নাই—হইতেও দিব না। আপাততঃ তুমি আমাদের বাড়ী হইতে——” মলিনমুখে সেলিন বলিল, “মা-তুমি—” সেলিনার মা সেলিনার কথায় কৰ্ণপাত না করিয়া সুরেন্দ্রনাথকে পরিষ্কার কণ্ঠে বলিলেন, “চিলিয়া যাও । আমি অনুমতি না পাঠাইলে এখানে আর আসিয়ে না । সুরেন্দ্ৰনাথ, তোমার ব্যবহারে আমি অত্যন্ত অসন্তুষ্ট হইয়াছি।” সুরেন্দ্রনাথ চেয়ার ছাড়িয়া উঠিলেন। কোনরূপ ক্রোধের লক্ষণ তখন তঁহার মুখমণ্ডলে প্ৰকটিত হইল না। ধীরভাবে তিনি বলিলেন,