জীবন্ম ত-রহস্য রোব্যসংক্ষুব্ধস্বরে মিঃ দত্ত বলিলেন, “হারাইয়া ফেলিব কেন ? কে স্থা চুরি করিয়াছে। আমার বোধ হয়, জুলেখা—” বাধা দিয়া বেণ্টউড সাহেব বলিলেন, “আপনার অনুমান কতদূর সত্য, বলিতে পারি না ; জুলেখা লইলেও লাইতে পারে ; কারণ এ তাতাদেরই দেশের জিনিষ, তাহাতে জুলেখার একটা লোভ থাকা সম্ভব বটে। একবার আপনি জুলেখাকে জিজ্ঞাসা করিয়া দেখিতে পারেন ।” মিঃ দত্ত বলিলেন, “জিজ্ঞাসা করিয়াছিলাম। কেবল তাহাকে নহে, সেলিনার মাকেও জিজ্ঞাসা করিয়াছিলাম। সেলিনার মার মুখে শুনিলাম, কাল সন্ধ্যার পর জুলেখা বাড়ীর বাতির হয় নাই। কাল অপরাষ্ট্রে সেলিনাদের বাড়ীতে পেটের ধারে দাড়াইয়া জুলেখার সহিত আপনার কি কোন কথাবার্তা হইয়াছিল ?” বেণ্ট ৷ হইয়াছিল-কিন্তু বিশেষ কোন কথা হয় নাই। এ কথা আপনাকে কে বলিল ? সুরেন্দ্রনাথ বুঝি ? ? দত্ত । সুরেন্দ্রনাথ। কাল হইতে আপনার উপরে সুরেন্দ্ৰনাথের রাগটা অত্যন্ত প্ৰবল দেখিলাম। তাহার সহিত আপনার কিছু মনোমালিন্য ঘটিতে পারে, এমন কোন ঘটনা কি কাল সেলিনাদের বাড়ীতে ঘটিয়াছিল ? বেণ্ট। কিছুই না। তবে আমার উপরে সুরেন্দ্রনাথের রাগের অন্য একটা কারণ আছে । দত্ত । কারণটা কি ? বেণ্ট। সেদিন তাহার হাত দেখিয়া আমি যে একটা ভবিষ্যৎ ঘটনার কথা বলিয়াছিলাম, তাহা আপনার স্মরণ আছে, বোধ হয়। দত্ত। আছে-সে। বাজে কথা । আপনি তা নিজেই তার কোন