পাতা:জীবন্মৃত রহস্য - পাঁচকড়ি দে.pdf/৮৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জীবন্মত-রত্যস্ত কথাটা শুনিয়া দত্ত সাহেবের গম্ভীর মুখমণ্ডলে একটা বিষগ্নতার ছায়া স্পষ্টীকৃত হইল। তন্মুহুর্তে তিনি সে ভাব গোপন করিয়া মৃদুহাস্যের সহিত কঠিলেন, “যাহা ভাল বুঝিবে, তাতাই কবিবে। কেবল তুমি নও, অমরেন্দ্ৰও আমার সঠিত আজকাল এইরূপ ব্যবহার করিতেছে ; বড়ই দুঃখের বিষয় ।” সবিস্ময়ে সুরেন্দ্ৰনাথ জিজ্ঞাসা করিলেন, “কেন, আমার দাদা আবার কি করিয়াছেন ?” অতিমাত্র বিরক্ত হইয়া দত্ত সাহেব বলিলেন, “আমার মুণ্ড করিয়াছোন ! আমাকে কোন কথা বলা নাই-কহা নাই-কলিকাতায় গিয়াছে। সেখানে তাহাকে কেবল দুই দিন থাকিতে হইবে, সেটা আমাকে জানানো যেন একান্ত অনাবশ্যক। যাইবার সময়ে রহিমবক্সের কাছে দুই ছাত্র মাত্র লিখিয়া রাখিয়া গিয়াছে; কেনু যাইতেছে, কি দরকার ইহাতে তাহার কোন উল্লেখই করে নাই।” এই বলিয়া দত্ত সাহেব পকেট হইতে একপাণ্ড কাগজ বাহির করিয়া জুরেন্দ্রনাথের দিকে ছুড়িয়া ফেলিয়া দিলেন। সুরেন্দ্রনাথ সেই কাগজ টুকরা লইয়া পড়িয়া দেখিলেন ; তাহার মাতুল মহাশয়ের মুখে যাহা শুনিলেন, তদ্ব্যতীত তাহাতে আর কিছু লিখিত ছিল না । তিনি সেখানি দত্ত সাহেবকে প্ৰতাপণ করিয়া বলিলেন, “আজ আমাকে এখনই একবার আলিপুরে যাইতে হইবে। বোধ হয়, ফিরিতে অনেক রাত হইবে। আমি বাড়ীতে আহার করিব মা-হোটেলে আহার করিব।” বালিগঞ্জ হইতে আলিপুর অনু্যান এক ক্রোশ দূরে। আলিপুরে বেণ্টউড সাহেবের বাড়ী। দত্ত। আলিপুরে যাইবে কেন ?