পাতা:জীবন্মৃত রহস্য - পাঁচকড়ি দে.pdf/৯১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Vày ऍना ठ-द्रश्g nah-Aard নিৰ্ম্মলা-পরিষ্কার—কোথায় একখানিও মেঘ ছিল না। দূরে বনানীর অন্তরালে চন্দ্ৰোদয় হইতেছিল। এবং বৃক্ষান্তরাল দিয়া চন্দ্ৰকরলেখ ধরাবক্ষে বিস্তুত হইয়া পড়িতেছিল। মুক্ত প্রকৃতি স্থির নিস্পন্দ নীরব মন্ত্ৰমুগ্ধতুল্য। পরিপ্লব চন্দ্ৰকিরণে বিশ্বজগৎ যেন এক অপূৰ্বরহস্যময় বলিয়া বোধ হইতেছিল। নীরবে চন্দ্ৰদেব কিরণ বর্ষণ করিতেছিলেন ; নীরব আকাশ ব্যাপিয়া নক্ষত্র।রাজি নিনিমেষনেত্ৰে নীরব ধরণীর দিকে নীরবে চাহিয়াছিল ; নীরবে বৃক্ষশ্রেণী তাহাতে স্নান করিতেছিল ; নীরবে। নৈশসমীরণ সেই জ্যোৎস্না-সমুদ্রে সন্তরণ করিতেছিল ; নারবে দুরবাওঁী গঙ্গা-প্রবাহে তরঙ্গভঙ্গ হাহতেছিল ; নীরবে বিকসিত পুষ্পদল হাহতে পরিমল বায়ু প্রবাহে নিঃস্থত হইতেছিল ; এবং সেই অনন্ত নীরবতার মধ্যে বিশ্বসৃথিবী যেন একেবারে মগ্ন হইয়া °ि१० ।। এমন সময়ে সহসা সেই বিপুল নিস্তব্ধতা বিদীর্ণ করিয়া, শাণিত ছুরিকার ন্যায় কাহার আকুল আৰ্ত্তনাদ চর্তুদ্দিক প্রতিধ্বনিত করিয়া তুলিল ? সেই আৰ্ত্তনাদে দত্ত সাহেবের নিদ্রাভঙ্গ হইল, এবং তিনি চকিতে উঠিয়া বসিলেন । কাহার সেই আৰ্ত্তনাদ আকাশভেদী, অতি তীব্র, এক মুহূৰ্ত্তে চরাচর যেন স্তম্ভিত হইয়া গেল ? দত্ত সাহেবের বোধ হইল, যেন অদূৰ্ববৰ্ত্তী সেলিমাদের বাটা হইতেই সেই শব্দটা আসিল। তিনি তাড়াতাড়ি উঠিয়া সেইদিকে ছুটলেন। মনে মনে বুঝিতে পারিলেন, অবশ্যই একটা কোন ভয়ানক ঘটনা ঘটিয়াছে। উদ্ধশ্বাসে কিছুদূর ছুটিয়া আসিয়া দেখিলেন, পথের এক পাশ্বে স্তুপীকৃত হইয়া একটা কি পড়িয়া রহিয়াছে। দত্ত সাহেব তন্নিকটবৰ্ত্তী হইয়া দেখিলেন, একটা মনুষ্য-দেহ নীরবনিম্পন্দ ; দুই হাতে ফিরাইয়া মুখের দিকে চাহিয়া দেখিলেন-দেখিয়া