পাতা:জীবন্মৃত রহস্য - পাঁচকড়ি দে.pdf/৯৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ya জীবন্মত-রহস্য সহিসকে ডেকে আনি, আর কোচুম্যানকে গাড়ী নিয়ে শীঘ্ৰ ডাক্তার বেণ্টউডের বাড়ীতে যাইতে বল।” রহিমবক্স বলিল, “এত রাত্রে ডাক্তার সাহেবের দেখা-” বাধা দিয়া দত্ত সাহেব বলিলেন, “কোন কথা কহিয়ে ন-আমি যা বলি তাই করা-শাস্ত্ৰ যাও।” BBDBDD DBDBDD S BBB BBDTYTODuBDBD DBBDD BDukkD0 পড়িতে ছুটিয়া চলিল। দত্ত সাহেব সুরেন্দ্ৰনাথের মৃতদেহ বক্ষে লইয়া একাকী সেইখানে বসিয়া ব্লচিলেন । এখন আমরা তঁহার মনের অবস্থা বর্ণনা করিবার চেষ্টা করিব না-বলিতে কি, সে চেষ্টা সফল হইবার কিছুমাত্র সম্ভাবনা নাই। . যে পথের ধারে সুরেন্দ্রনাথকে বক্ষে লইয়া দত্ত সাহেব বসিয়া - ছিলেন, সন্ধ্যার পরে সে পথ দিয়া কেহই গমনাগমন করিত না । এখন রাত দশটা বাজিয়া গিয়াছে, সেই স্থান একেবারে জনমানবশূন্য। চন্দ্রালোকে যতদূর দৃষ্টি চলে, দত্ত সাহেব নিজের দৃষ্টিশক্তির উপরে সাধ্যমত বলপ্রয়োগ করিয়া চারিদিকে চাহিতে লাগিলেন, কাহাকেও দেখিতে পাইলেন না । কেহ যে সুরেন্দ্রনাথকে এই নির্জন পথিমধ্যে হত্যা করিয়াছে, সে সম্বন্ধে দত্ত সাহেব নিঃসন্দেহ হইলেন । তিনি সুরেন্দ্ৰনাথের এমন কোন ভাব দেখেন নাই, যাহাতে সুরেন্দ্ৰনাথ আত্মহত্যা করিয়াছেন বলিয়া তাহার মনে এমন একটা ধারণা হইতে পারে। কিন্তু এ হত্যা কে করিল ? দেহে অস্ত্রাঘাতের চিহ্নমাত্র ও নাই। তবে কি বেণ্টউড সুরেন্দ্ৰনাথের করকোষ্ঠী দেখিয়া যে ভবিষ্যৎ গণনা করিয়াছিলেন, ইহা তাহারই সূত্ৰপাতা ? দত্ত মহাশয়ের মনে এইরূপ অনেক প্রশ্নের উদয় হইতে লাগিল ।