বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:জ্ঞানাঙ্কুর ও প্রতিবিম্ব - চতুর্থ খণ্ড.pdf/৩০৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জ্ঞানাঙ্কুর জ্যৈঃ, ১২৮৩) আছে যে, আমার প্রস্তাবে তিনি l অসন্তুষ্ট হইবেন না।” সুকুমারী কছিলেন,— “আমার সে সাহস নাই বলিয়াই মন এত ব্যস্ত হয়েছে।” বিনোদ সুকুমারীকে বক্ষে ধারণ করিয়া কহিলেন,— “ভীত হইবার কোন কারণ নাই।’ সুকুমারী বিনোদের বাহুবন্ধ হইতে নিজ শরীর মুক্ত করিয়া কহিলেন,-- “বিনোদ! অদ্য এই পর্যন্ত । বেল হইল ৷ এখনি আনন্দময়ী দেবী অামাকে ডাক্বেন, আমি যাই । সময় পাইলে সাক্ষাৎ করিব।” এই বলিয়া তিনি চলিয়া গেলেন ; বিনোদ ক্ষণকাল তথায় নিস্তব্ধ ভাবে দাড়াইয়। পরে প্রস্থান করিলেন । ষষ্ঠ পরিচ্ছেদ । আনন্দময়ীর প্রস্তাব । আনন্দময়ী দেবী নিত্য প্রাতঃস্নান করিতেন। স্বানান্তে তপষপাদি সমাপম করিয়া বসিয়া আছেন । সুকুমারী একখানি রামায়ণ হস্তে তথায় উপস্থিত হইলেন। আনন্দময়ী একটু রামায়ণ শুনিলেন । তাছার চিত্ত অন্য দিনের ন্যায় শাস্তু বলিয়া বোধ হইল না, ষেন কিছু অন্যমনস্ক বলিয়া বোধ হইল । তিনি গভরজনীর মন্দাকিনী খ্রীপঞ্চমী

  • ぷ ○

ঘটিত বিষয় মনে মনে আন্দোলন করিতেছিলেন । র্তাহার এরূপ ভাব দেখিয়া সুকুমারী জিজ্ঞাসা করিলেন, “মা—আজি যেন আপনাকে কিছু চিন্তাযুক্ত দেখতেছি ।” আনন্দময়ী মনের প্রকৃত ভাব গো পল করিয়া কহিলেন,~~ "বাছা— যে চিন্তা করিতেছি, শুনে । আমি কল্যই তোমাকে বলিব মনে করেছিলাম, ফিন্তু ক্রীপঞ্চমীর দিন আমি কোন গুৰুতর কার্য্যে মন দেই না, সেই জন্যই বলি নাই । আজ বলিতেছি । বাছা ! অামার ইচ্ছ। তোমাকে বধুরূপে বরণ করি,-আমি অবর্তমানে তুমি এই সকল বিষয়ের কত্রী হও, এই আমার ইচ্ছা ।” । সুকুমারী “মা আমি—” এই পর্যন্তু বলিয়া লজ্জায় কথা কহিতে পারিলেন না । হৃদয়ে লজ্জ ও ভয় আসিয়া উপস্থিত হইল। মস্তক নত করিলেন । আনন্দময়ী কছিলেন “কি বলছিলে বল-মাতা হেঁট করে থাকলে কেন ? অামি বুঝতে পেরেছি- এ বিবাহে তোমার মত হইবে না। শশিশেখর তোমার উপযুক্ত পাত্র নয় ।” সুকুমারী বিনম্র বচনে কহিলেন,— “ম আমি নিতান্ত অজ্ঞাত কুল লীলা ।” 尊 অনিন্দময়ী হাসিয়া কছিলেন,— “আমার সে অাপতি নাই। আকার