বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:দক্ষিণাপথ - জলধর সেন.pdf/২৫৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মেশ্বর সেখান থেকে রায়াপুরমুগামী ট্রামে চড়ে ব্যাঙ্কের দিকে গেল। আমিই পথ বলে দিলাম ; কারণ পূৰ্বদিন আমি বিকেলে ঐ সব দেখে সেছিলাম। প্ৰকাণ্ডকায় সুদৃশ্য জেনারেল পোষ্ট-আফিস একেবারে জপ্রাসাদের মত। পোষ্ট-আফিস দেখেই ভ্রাতৃপ্রতিম, সুকবি রায় হাদুর রমণীমোহন ঘোষের কথা মনে হোলো। তিনি এখানে তিন-বছর পাষ্টমাষ্টার-জেনারেল ছিলেন। তখন এলে আর দিল্লী আনন্দ-ভবনে কিতে হোতো না, এই প্রাসাদেই অতিথি। হতাম। আমি ষ্টেসন থেকে মে উঠে দুই পয়সার টিকিট কিনে বাসায় এলাম। আহারান্তে আমরা ঠিক করলাম যে, আমাদের গাড়ী যদিও রাত আটটায়, তা হোলেও আমরা তিনটার সময়ই হোটেল ত্যাগ করব ; চারণ, আমরা রবিবার তিনটার সময় এসেছি, মঙ্গলবার তিনটা পৰ্য্যন্ত . কুলে পূৱা দুষ্ট দিনের চার্জ দিতে হবে ; তার পর হলেই আর ** কদিনের চার্জ দুই জনের s ২২ টাকা দিতে হয়। রাত্রের আহার ন্নিপূর্ণ যা মাপিয়ে থাকেন। তাই হবে । এষ্ট স্থির কবে আমরা তিনটার কটু পূর্বেই ষ্টেসনে এলাম। ষ্টেসনের দ্বিতীয় শ্রেণীর বিশ্রাম-কক্ষ অতি সুন্দর। সেখানে জিনিষপত্ৰ রখে আমি বিশ্রাম করতে লাগলাম, রামেশ্বর একটু ঘুরে আসতে গেল। সও বেরিয়ে গেল, আর মুষলধারে বৃষ্টি। বৃষ্টির মধ্যেই বামেশ্বর যখন ফরিল, তখন ছয়টা বেজেছে । আমবা সাতটাব সময়ই আমাদের রিজার্ভ গাড়ীতে গিয়ে বসলাম। রামেশ্বর ইতিমধ্যে যা তোক এক-রকম নৈশ ভাজের ব্যবস্থা করেছিল ; গাড়ী ছাড়বার পূর্বে সে পৰ্বই শেষ করা গেল। চার পর ঠিক আটটার সময় বৃষ্টির মধ্যেই গাড়ী ছাড়ল । আমাদের Iাড়ীতে আর দুইটী মাড়োয়ারী ভদ্রলোক উঠলেন ; একজন কলিকাতায় মাসবেন, অপর জন রাজমন্দ্রীতে নামবেন । po