পাতা:দক্ষিণাপথ - জলধর সেন.pdf/৯১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

লাগল। তখন হঠাৎ প্ৰদীপদা নিবে গেল ;-বাতাসে নয়,-বাতাস এত দূর গেলে তা আমরা নিঃশ্বাস ফেলে বাচিতাম। ব্যস সব ঘোর আঁধার । , পুরোহিত বললেন, আপনারা এখানে চুপ করে বসে থাকুন, আমি গিয়ে প্ৰদীপ জ্বালিয়ে আনি । নইলে এ আঁধারে বা’র হওয়া শক্ত । বিশেষ বার হওয়ার দুইটা পথ ছিল। তার একটার মাঝখানে একখানি পাথর পড়ে পথ বন্ধ হয়ে গেছে ; অন্ধকারে সেই পথ ধবলে আর বের হবার উপায় থাকবে না। এই সময় আমার চুরুট খাওয়াব উপকারিতা বেশ বুঝতে পারলাম। পকেটে চুরুট দেশলাই না নিয়ে আমি বােধ হয় স্বর্গে যেতেও এখন রাজি নই। এই অন্ধকারের মধ্যে পকেট থেকে দেশলাই বার করে দিয়ে প্ৰদীপ জ্যালিয়ে অতি সন্তপণে ফিবে এলাম। সেই সুড়ঙ্গপথের দুইপাশে বলতে গেলে অন্ততঃ তেত্ৰিশ কোটীর তেত্ৰিশটী দেবদেবীর মুক্তি । এদের মধ্যে দেবর্তী প্ৰায় সকলেই আছেন। একটা দেবতার পরিচয় এই যে, তিনি অগ্নি-দেবতা, তার পা তিনখানি, হাত সাতখানি, মুখ দুইটী । অগ্নি-দেবতার এই মূৰ্ত্তি শাস্ত্ৰ-সঙ্গত কি না পণ্ডিত লোককে জিজ্ঞাসা করতে হবে । তার পর হাফাতে হাফাতে মন্দিবের মধ্যে এলাম । পুরোস্থিত তখন আরতি করলেন, নিৰ্ম্মাল্য দিলেন । রামেশ্বব্যপ্ৰসাদের দুই মন্দিরের উপর ভাৱি ভক্তি হোলো ; তিনি একেবারে একটাকা প্ৰণামী দিলেন। মন্দিরের বাইরে যে উঠান আছে ( এ সবই কিন্তু একটা ছোট শৈলের উপরে, সমভূমি থেকে অনেকটা চড়াই উঠে। তবে মন্দির, নইলে মাটির নীচে এত সব ব্যাপাব হবে কি করে ? ) সেই উঠানে পাথরের একটা প্ৰায় ১২১৪ হাত দীর্ঘ ত্রিশূল, আর একটা অত-বড়ই দণ্ড, তার মাথায় চালের মত । আরও দুই তিনটা পাথরের স্তম্ভও দেখা গেল। এই গৰীপুরম থেকে যখন বে'র হলাম, তখন সন্ধ্যা। সেখান থেকে লালবাগে গমন । লালবাগের ইতিহাস পূর্বেই বলেছি। অন্ধকারে বেশ WrSR