৩৭। কুক্কুটের ছাল্যা অণ্ড হতে নিকলিয়া। স্বখাদ্যের অন্বেষণ করয়েই ভ্রমিয়া॥ মনুষ্যের শিশু জাত হয় যে যখন। বুদ্ধি শুদ্ধি তার কিছু না হয় তখন। সে শিশুকে কেহ কভু যদি মারি ফেলে। কহিতে না পারিবেক কখন কৌশলে॥ এই শিশু দিনে২ যত বৃদ্ধি হবে। নানা বিদ্যাদিতে অতি বুদ্ধি মান রবে॥ সর্বত্র প্রাপ্তব্য দেখ সীসা অনাদর। মাণিক অপ্রাপ্য হেতু বহু সমাদর॥
৩৮। ধীরতা ও ধৈর্য্যতাতে কর্ম্ম সকল সু সম্পন্ন হয়, যে ব্যক্তি শীঘ্র২ করিতে চাহে সে স্বয়ং অপমান ও অপচয় গ্রস্ত হয়।
দেখিয়া স্বচক্ষে মরা প্রত্যেক মাঠেতে। ধিরণ প্রথমে গেল শীঘ্রগামী হইতে॥ দ্রুত গামী অশ্বগণ অত্যন্ত দৌড়িয়া। স্থগিত হইল শ্রমে বিবশ হইয়া॥ উষ্ট্রের রাখাল উষ্ট্র ধীরে চালাইয়া। পঁহুছিলেক অগ্রভাগে তথায় যাইয়া॥
৩৯। বুদ্ধি হীনের নিঃশব্দ থাকাই ভাল, যদি ইহা উত্তমরূপে জানিতে তবে নির্ব্বুদ্ধি হইতা না।
যদি বিদ্যা বুদ্ধি কিছু না থাকে তোমায়। বন্ধ করি রাখ তবে আপন জিহ্বায়॥ মনুষ্যের জিহ্বা অনর্থক কর নষ্ট। যে কিছু আছয়ে বুদ্ধি তাহা কর ভ্রষ্ট॥ মূর্খ দিত শিক্ষা এক গর্দভ অন্তরে। করিত সে