পাতা:নটনন্দিনী.pdf/১০৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

సిలి নটনন্দিনী আসিয়া কখনও দু একটী মিষ্ট কথায় সন্তুষ্ট করিতেন কতক শীতল অবশ্যই হইভাম, কিন্তু শাশুড়ী ঠাকুরাণী সদাই তাছাকে শুনাইয়া বলিতেন “কি কুকৰ্ম্মই হয়েছে, টাকা গুলো জলে ফেলা হলো এক রাশ টাকা দিয়ে বে। আনলেম সেটাকে দেখলে হরি ভক্তি উড়ে যায়, আমরি ! সোণা কুকি কি মেয়েই আমার পোড়া কপালের জন্তে বিইয়ে ছিলেন, রূপ ত কত, উচু কপালী, চিৰুন-দণতী, বরা খুরী কুলক্ষণ ষে গুলি তা সবই আছে, অমন বয়সে লোকের বেী ঝি এক একটা মাগীর মত হয়, ইনি দিনৃকে দিন বেগুন গাছে অংশী দিচ্ছেন ; তাই নয় ফুটফুটেটই হোক তাও নয়, আজিও চক্ষের পিচুটী ঘুঢ়লে না, নাক ভড় ভড় করে, কাণে পূজ গড়ায়, অমন পেত্নীর কাছে ত ছেলেকে শুতে দেওয়া হয় না” এই সকল কথায় ঘৃণাতেই ছউক কিম্বা লজ্জাতেই হউক স্বামী আমার মুখও দেখিতেন না। মনের দুঃখ মনেই নিবারণ করি, এমন কাহাকেও দেখিতে পাইন যে তাছার কাছে প্রকাশ করিয়া সুস্থ হই । এই প্রকারে প্রায় তিন বৎসর অতীত হইল এবং যৌবনের লক্ষণ সকল প্রকাশ হইল, দ্বিতীয় বিবাহও হইয়া গেল, তখন ঠাকুৰুণটা লোক লজ্জা ভয়ে আমার স্বামীকে আমার ঘরে আসিতে বারণ করিতেন না কিন্তু সৰ্ব্বদাই আমার নানা প্রকার নিন্দ করিতেন, এমন কি তাহার অঙ্গুরী, কিম্বা এমন কোন জিনিস যাহা অনায়াসে লুকান যায় তাছা নিজে গোপন করিয়া অামাকে অপবাদ দিতেন। আমিও তাহার অতিশয় মাতৃভক্তি দেখিয়া শাশুড়ী ননদের বিপক্ষে কোন কথা বলিতাম না, জিজ্ঞাসা করিলেও নীরব ছইয়া থাকিতাম, তখন আমার মনে