কুসুম । । SSS) জষ্ঠ্য র্তার অবাধ্য হইনাই, তিনিও বিমলা দিদির শাশুড়ীর মত আমাকে মার পিট কৰ্ত্তেন না ; যা কিছু কথার জ্বালাই দিতেন, আবার অপরে এক কথা বল্পে তার গলার নলি ছিড়ে ফেলতেন । আমি তখন ভাত ভাতার দুই পেয়েছি, আর কোন জ্বালা যন্ত্রণা মনে কৰ্ত্তেম না । তার পর ভাতারের গুণ বাড়লো, তিনি এমনি মাতাল হলেন যে, প্রায় প্রতি দিন রাস্তায় ঘাটে পড়ে থাকৃতেন; ষে দিন ঘরে থাকা হতো, আমাকেও একটু একটু করে মদ খাওয়াতেন, আমিও তাকে আটক করবার আশায় মদ খেতে অস্বীকার কৰ্ত্তেম না। এইরূপে মদ্যপানট আমার ক্রমে এক প্রকার নিত্যকৰ্ম্ম হয়ে উঠলো, একদিন ঘরে ন! এলেই বিষম বিপদ খুঁজে আমৃতে হয় এবং বিলক্ষণ রূপে সেবা শুশ্রষায় তাকে সুস্থ করিতে বিরক্ত হইতাম না । নবকুমার নামে আমাদের বাড়ীতে একজন দোহাল ছিল, মে জাতিতে গোয়ালা, বয়স ত্রিশ বৎসরের অধিক নয়, রংটা ময়লা বটে, কিন্তু দেখতে নিতান্ত বিস্ত্র ছিল না । শাশুড়ীর অজ্ঞাতে সেই নবকুমারের সঙ্গে গিয়ে, গ্রাম প্রদক্ষিণ করে প্রায়ই তার তল্লাস কর্তে হতো । স্বভাব কত দিন গোপন থাকে? কাককে স্বর্ণ দ্বারা ঠোঁট, হিরার দ্বারা পা দুখানী এবং গজমুক্ত দিয়ে তার প্রত্যেক পাখা সাজিয়ে রেখে, আদর করে ক্ষীর, ছানা, ননী, খাওয়ালে সে কখনই আপনার বোল ছাড়তে পারে না। আমার প্রথম বয়সেই নষ্ট বুদ্ধি হয়েছিল, দিন কতক স্বামীর প্রণয়ে বাধ্য হয়ে একটু ক্ষান্ত ছিলাম ; এই সময় সেই নবকুমারের সঙ্গেই আবার পোড়া কপালটা পুড়ে উঠলো । তখন নবকুমার অন্তু প্রাণ, স্বামীর বমির গন্ধ, শাশুড়ীর