পাতা:নটনন্দিনী.pdf/২০২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিসৰ্জ্জন ও উদ্ধার । సిరి তুমিই একবার প্রাতঃস্বানের সময়ে, আমার নিকট গমনকরিও । এ দিগে ব্রহ্মচারীর প্রত্যাগমনের কালবিলম্ব হুইডেছে, পুলিন বাবুর বিষমোৎকণ্ঠা, বিলাসগৃহ নিগ্রহ বোধ, ক্ষণেক অঙ্গণে ক্ষণেক প্রাঙ্গণে, ক্ষণেক সৌধশিখরে, কখনও বা উপবন চত্বরে পরিভ্রমণ করিতেছেন, কিছুতেই সুস্থ হইতেছেন না। এমন সময় ব্ৰহ্মচারী জগৎকৰ্ত্তার মহিমা কীৰ্ত্তন করিতে করিতে, পুলিনের নিকট উপস্থিত হইলেন । সেই চাৰুনয়নাই পুলিনের মনশ্চেষ্টার এক মাত্র উদ্দেশ্য, অন্ততর সম্ভাষণ আর কি করিবেন, ব্রহ্মচারীকে দর্শন মাত্রেই জিজ্ঞাসা করিলেন, “প্রভো! মঙ্গল ত?” সদানন্দ কি উত্তর দিবেন, স্থির করিতে না পারিয়া নীরব, পরক্ষণেই বলিলেন, “পুলিন ! মঙ্গলামঙ্গলের কিছুই নিশ্চয় করিতে পারি নাই, ফলত তাহার বদ্ধমূল দৃঢ় প্রতিজ্ঞ যে সামান্ড চেষ্টায় বিনষ্ট হইবে, ইছা কোন ক্রমেই অনুমিত নহে। অদ্য অধিক রাত্র হইয়াছে তুমি শয়ন কর, আমিও কিঞ্চিৎ বিশ্রাম করি, রাত্ৰ প্রভাতেই দৈবোপাসনায় প্রবৃত্ত হইব । অন্ততঃ দিবসত্রয় যথা নিয়মে সঙ্কম্পিত ব্রতের অনুষ্ঠান করিলে, কামনাসিদ্ধি লাতে কখনই বঞ্চিত হইব না । বৎস! তুমি স্বয়ং সমুদ্যোগী হইয়া পূজোপযোগী উপচার গুলি সত্বরে প্রস্তুত করিয়া দিবে, অনুষ্ঠিত কার্য্যে কালক্ষয় করা অবিধেয় ।" এই কথা বলিয়া, ব্রহ্মচারী সেই বিষ্ণুমণ্ডপে নির্দিষ্ট কুশাসনে শয়ন করিলেন, পুলিনও অন্তঃপুরে প্রবেশ করিলেন । 总盘