পাতা:নাগপাশ - হেমেন্দ্রপ্রসাদ ঘোষ.pdf/১০৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ

যুবক।

ফাল্গুনের শেষ। সন্ধ্যা হইয়াছে। ছাত্রাবাসে প্রভাতের কক্ষদ্বার-সম্মুখে বারান্দায় একটা কেরোসিনের চুল্লীতে জল গরম হইতেছে; প্রভাত চা’র আয়োজন করিতেছে। পাত্রগুলি সুদৃশ্য। পার্শ্বের কক্ষে গিরিজানাথ কাগজ বিছাইয়া তৈল ও লবণ সংযোগে মুড়ী আহারোপযোগী করিতে ব্যস্ত ছিল; পার্শ্বে ই গোটা দুই কাঁচা লঙ্কা সংগৃহীত ছিল। পেয়ালা চামচের শব্দ পাইয়া গিরিজানাথ বলিল, “প্রভাত, চা করিতেছ?”

 প্রভাত বলিল, “হাঁ; চাই?”

 “এক পেয়ালা দিও, ভাই।”

 প্রভাত দুই পেয়ালা চা প্রস্তুত করিল; এক পেয়ালা লইয়া গিরিজানাথের ঘরে প্রবেশ করিয়া ইতস্থতঃ চাহিয়া জিজ্ঞাসা করিল, “রাখি কোথায়?”

 যে সব বাক্সে কেরোসিন-তৈল পূর্ণ ‘টিন’ আইসে, তাহারই একটার উপর গিরিজানাথ পুস্তক রাখিত। সেটার উপর আর স্থান ছিল না। তাহা দেখিয়া গিরিজানাথ বলিল, “বিছানার উপর রাখ।”

 প্রভাত বলিল, “খানিকটা পড়ুক!” গিরিজানাথ হাসিয়া বলিল, “ও বিছানায় খানিকটা চা পড়িলে বিশেষ ক্ষতি হইবে না।”

১০৩