বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:নাগপাশ - হেমেন্দ্রপ্রসাদ ঘোষ.pdf/২৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
নাগপাশ।

পাইতই, তদ্ব্যতীত প্রত্যেকবার কলিকাতা-যাত্রার সময় পিসীমা তাহাকে কিছু কিছু অর্থ দিয়া দিতেন,— আবার নবীনচন্দ্র প্রতি মাসেই দাদার অজ্ঞাতে তাহাকে কিছু টাকা পাঠাইতেন। প্রভাত বেশবিন্যাসাদিতে অতিরিক্ত মনোযোগ দান করিত— অধিক ব্যয় করিত। শিবচন্দ্র তাহা নিবারণ করিবার চেষ্টা করিলে, নবীনচন্দ্র সে চেষ্টা ব্যর্থ করিতেন। শৈশবে যেমন পিসীমা তাহার সকল দোষ ঢাকিবার চেষ্টা করিতেন, এখন তেমনই খুল্লতাত তাহার দোষ বিষয়ে ভ্রাতাকে অন্যমনস্ক রাখিবার প্রয়াস পাইতেন। এবারও তাহা হইল। পুত্ত্রের বেশে একটা নূতন দ্রব্যের সংযোগ দেখিয়া শিবচন্দ্র কনিষ্ঠকে বলিলেন, “নবীন, দেখিয়াছ—প্রভাত ‘সাহেব’দের মত গলায় একটা কি কঠিন দ্রব্য ব্যবহার করে? কেবল অপব্যয়।” নবীনচন্দ্র উত্তর করিলেন, “দাদা, ওটা ঠিক অপব্যয়ও নহে। এখন ছেলেরা মূল্যবান গরম জামা ব্যবহার করে। ওটা নহিলে জামা মলিন হয়। ও সব এখন রেওয়াজ হইয়াছে। আপনি যেন ঐ জন্য আবার প্রভাতকে তিরস্কার করিবেন না।” শিবচন্দ্র পুত্রকে তিরস্কার করিলেন না; কিন্তু এ কৈফিয়ৎ তাঁহার নিকট সন্তোষজনক বোধ হইল না। তিনি মনে করিলেন, পুত্ত্র অমিতব্যয়ী হইতেছে।

 প্রভাত গত বৎসর এফ্. এ. পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হইয়া বি. এ. পড়িতেছে; পূজার ছুটীতে বাড়ী আসিয়াছে।

 কয় মাস পরে বাড়ীর একমাত্র ছেলে বাড়ী আসিয়াছে;

২০